ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

ভালুকায় ছাত্রলীগ সভাপতিকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শুক্রবার, অক্টোবর ৮, ২০২১

ভালুকায় ছাত্রলীগ সভাপতিকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা

চেক জালিয়াতির মামলায় ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুনকে বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের তৃতীয় জেলা দায়রা জজ আদালত ২০ লাখ টাকা জরিমানা এক বছরের জেলের রায় দিয়েছেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুন রাজৈ ইউনিয়নের চান্দাব গ্রামের আরফান আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম (চাঁন মিয়ার) মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের সূত্রধরে মনিরুজ্জামান মামুনকে চাঁন মিয়া ২৪ লাখ টাকা ধার দিয়েছিলেন। টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার কথা ছিল দুয়েক মাসের মধ্যেই।

 

সময়ক্ষেপণ করায় স্থানীয় দেন-দরবারের ২৪ লাখ টাকার মাঝে ছাত্রলীগ সভাপতি মামুনের মায়ের হাতে দেওয়া লাখ টাকার কথা অস্বীকার করে কামরুলকে ন্যাশনাল ব্যাংক ভালুকা শাখার ১৮ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। কামরুল ওই টাকা তুলতে ব্যাংকে যান। কিন্তু মামুনের সেই অ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হলে কামরুল ইসলাম (চাঁন মিয়া) ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের তৃতীয় জেলা দায়রা জজ আদালতে চেক জালিয়াতির একটি মামলা করেন।

 

মামলা চলাকালে জালিয়াতির বিষয়টি অস্বীকার করে স্বাক্ষরটি ভুয়া দাবি করে এক্সপার্টের আবেদন করলে টেস্টে হস্তলেখায় তার স্বাক্ষরের মিল পান আদালত। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি মামুন আদালতের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করে আদালতের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধের সময় চেয়ে নেন। দেই দিচ্ছি করে আদালতে তারিখ পরিবর্তন দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন।

 

বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহের তৃতীয় জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবুল্লাহ ওই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওই বিচারিক আদালত ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুনকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা এক বছরের জেল প্রদান করেন।

 

মনিরুজ্জামান মামুন বলেন, আমাকে রাজনৈতিক সামাজিকভাবে  হেয় সম্মানহানির জন্য একটি চক্র ওঠেপড়ে লেগেছে। তারা আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। রায়ের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে আপিল করব। আপিলের কাগজপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।