আজ রবিবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় বস্ত্র দিবস। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চতুর্থবারের মতো সারা দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘দেশীয় বস্ত্র ব্যবহার করি, সোনার বাংলা গড়ে তুলি’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি পালন উপলক্ষে রবিবার সংবাদ সম্মেলন করবেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
বস্ত্র দিবসকে কেন্দ্র করে বস্ত্রশিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন, বিএসটিএমপিআইএ,বিটিটিএলএমইএ, বিসিএ, বিজিএপিএমইএ, বাংলাদেশ তাঁতী সমিতি ও বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়কেসহ ১৫টি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
প্রাচীনকাল থেকেই বস্ত্রশিল্পে বাংলাদেশের সুনাম ছিল গৌরবময় এবং জগদ্বিখ্যাত। ঢাকাই মসলিন থেকে শুরু করে জামদানি আর বেনারসি এ দেশের বস্ত্রশিল্পের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। তৈরি পোষাকখাত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। দেশের মোট রপ্তানি আয়ের সিংহ ভাগ অর্জিত হয় বস্ত্রখাত থেকে। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বস্ত্রখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদা পূরণ, রফতানি বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ নিরাপদ, টেকসই, শক্তিশালী এবং প্রতিযোগিতা সক্ষম বস্ত্রখাত গড়ে তুলতে সরকার ‘বস্ত্র নীতি, ২০১৭’, ‘বস্ত্র আইন, ২০১৮’ এবং ‘বস্ত্র শিল্প (নিবন্ধন ও ওয়ানস্টপ সার্ভিস কেন্দ্র) বিধিমালা, ২০২১’ প্রণয়ন করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরিপূর্ণ সুবিধাদি বস্ত্রখাতে প্রয়োগ এবং এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।