টোল আদায়ের নামে নেত্রকোনার মদনে রাস্তায় চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজি। রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন গিয়াস উদ্দিন নামের এক ইজিবাইক চালক। এ বিষয়ে প্রশাসন কোন রকম ব্যবস্থা না নেওয়ায় চালকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মদন-ধানকুনিয়া রাস্তায় প্রতিদিন দুই শতাধিক অটোরিক্সা ও ইজিবাইক চলাচল করে। প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় ৪ টি স্থানে শ্রমিক সংগঠনের নামে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। প্রতিদিনেই প্রত্যেক অটোরিক্সা ও ইজিবাইক থেকে ২০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
তাছাড়া পৌর শহরে প্রবেশ করলেই দুই স্থানে শ্রমিক সংগঠনের নামে দিতে হয় আরো ৪০ টাকা। চাঁদা দিতে অপরাকতা প্রকাশ করলেই মারধর করা হয় চালকদের। এমনকি রাস্তায় গাড়ি চলবে না বলে হুমকিও দেওয়া হয়। জীবিকার দাগিদে অটোরিক্সা চালাতে বাধ্য হয়ে প্রতিদিন ১৪০ টাকা চাঁদা দিয়ে যাচ্ছেন চালকরা। রাস্তায় চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে গত ২১ নভেম্বর গিয়াস উদ্দিন নামের এক ইজিবাইক চালক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ দায়ের করার ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এ ব্যাপারে প্রশাসন কোন রকম ব্যবস্থা নেননি।
সাইদুল ইসলাম নামের এক ইজিবাইক চালক জানান, প্রতিদিনেই শ্রমিক সংগঠনের নামে ৫/৬ জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলেই আমাদেরকে মারপিট করতে আসে। এ নিয়ে আমরা প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানিয়েও কোন সুফল পাচ্ছি না।
জানতে চাইলে ফতেপুর বাজারের চাঁদা আদায়কারী শুভ জানান, আমাদের একটা শ্রমিক সংগঠনের কমিটি হয়েছে। এই সংগঠনের নামে রিসিট বই করেছি। কমিটি অনুমোদন হলে টোল আদায় করবো। তবে এখন আমরা কোন টাকা নিচ্ছি না।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, টোল আদায়ের নামে রাস্তার চাঁদাবাজির বিষয়ে ইউএনও স্যার নির্দেশ দিলে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিনা শাহরীন অভিযোগ পাওয়ায় সত্যত্যা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে একটি সভা করা হবে। ওসি সাহেবের সাথে কথা বলে চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।