শীত হলো এমন একটা মৌসুম যা আমাদের জীবনযাপনে কিছু না কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসে। এর মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন যেমন রয়েছে, তেমনি আবার নেতিবাচক পরিবর্তনও রয়েছে।
এ প্রতিবেদনে জীবনযাপনে কিছু নেতিবাচক পরিবর্তনের কুফল তুলে ধরা হলো।
শরীরচর্চা না করা: ব্যায়ামের ফলে মানসিক চাপ, বিষণ্নতা ও উদ্বেগের মতো সমস্যা কমে যায়। শীতকালে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয় বলে এসময় ব্যায়ামের গুরুত্ব রয়েছে। কেবল মানসিক স্বাস্থ্য নয়, ব্যায়ামে শারীরিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীর ফিট থাকে ও নানারকম রোগের ঝুঁকি কমে। কিন্তু শীতকাল যে কাউকে ব্যায়ামের প্রতি বিমুখ করতে পারে। একারণে শীতকালে মানসিক ও শারীরিক সমস্যার প্রবণতা বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে ব্যায়ামের করার পরামর্শ দিয়েছেন। ব্যায়ামের পাশাপাশি ইয়োগাও করতে পারেন।
ঘরে আটকে থাকা: শীতকালের ঠান্ডা আবহাওয়া মানুষকে ঘরে থাকতে প্ররোচিত করে। এসময় কম্বলের নিচে শুয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজিং ও ভিডিও দেখার প্রবণতা বেড়ে যায়। শীতকালে বিষণ্নতার মতো মানসিক সমস্যা বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, বিষণ্নতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঘরে অবস্থানের সময়সীমা বেড়েছে। কিন্তু ঠান্ডা আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে বাইরে বের হলে ভালো অনুভূতি পাওয়া যায়। শীতেও একটা নির্দিষ্ট সময় গায়ে রোদ লাগানো উচিত। রোদ পোহালে মেজাজ ভালো হয় ও বিষণ্নতা হ্রাসকারী ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়। কেবল রোদ পোহানো নয়, কুয়াশাচ্ছন্ন সময়েও বাইরে বের হলে মনে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। শীতের শুরু থেকেই নিয়মিত বাইরে বের হলে শরীর ধীরে ধীরে ঠান্ডা আবহাওয়ায় খাপ খেতে পারবে ও মানসিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা: গরমকালে অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহারে যতটা মনোযোগী হোন, শীতকালে ততটা উদাসীন হয়ে পড়েন। মনে করেন যে, শীতকালে ত্বকের তেমন ক্ষতি হবে না। কিন্তু শীতকালের সূর্যও ত্বকে বাদামী দাগ ও ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে।
তথ্যসূত্র: হেলথ লাইন