ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

স্বর্ণের পুতুল ও ডলার বিক্রির নামে প্রতারণা আটক ২

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, অক্টোবর ৮, ২০২১

স্বর্ণের পুতুল ও ডলার বিক্রির নামে প্রতারণা আটক ২

কথিতস্বর্ণের পুতুলডলারকিনতে ঢাকা থেকে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় এসে প্রতারণার শিকার হয়েছেন পাঁচজন। ঘটনায় উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের ভেজালের মোড় এলাকার আইয়ুব হোসেনের ছেলে আনারুল ইসলাম (৩৫) এবং কাচিনীয়া উত্তম পাড়া এলাকার জতীশ রায়ের ছেলে নিতাই রায়কে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আটক করেছে পুলিশ।

 

প্রতারণার শিকার হওয়াদের মধ্যে আছেন ঢাকা থেকে আগত কামরাঙ্গীরচর এলাকার লিটন মুন্সি (৫০), মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার হৃদয় হোসেন (২২), ঢাকার দোহার থানার এক তরুণ (২৫) তরুণী (২২) এবং চাঁদপুরের মতলব থানার এক নারী (৪০)

 

প্রতারণার শিকার লিটন মুন্সি বাদি হয়ে আটক দুজন ছাড়াও মো. শামীম ইসলাম (২৯), শেফাউল ইসলাম (৩৫), রশিদুল (৩৫), ভুল্লাডাঙ্গা এলাকার জয়নুল (২৭), টংগুয়া এলাকার রেজাউল ইসলামসহ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে খানসামা থানায় মামলা করেছেন।

 

ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বছরখানেক ধরে একটি মেসে ভাড়া থাকতেন খানসামা উপজেলার কথিত বাসিন্দা শামীম হোসেন। সেখানেই পাঁচজনের সঙ্গে সখ্য হয় তার। শামীম তাদের বলেন, খানসামায় স্বল্পমূল্যে স্বর্ণের পুতুল ডলার পাওয়া যায়। এটা শুনে বুধবার সকালে শামীমের বাড়িতে যান ওই ব্যক্তিরা। একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে নানা কৌশলে নগদ এক লাখ ত্রিশ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেন শামীম তার সহযোগী প্রতারক চক্রের সদস্যরা।

 

পরে তাদের আটক রেখে আরও কয়েক লাখ টাকা দাবি করেন প্রতারকরা। এরই মধ্যে তাদের স্বজনদের কাছে বিকাশের মাধ্যমে আরও ৫০ হাজার টাকা নেয় প্রতারক চক্র। বুধবার সন্ধ্যায় চিরিরবন্দর উপজেলার বেকীপুল বাজার এলাকায় প্রতারকরা ছেড়ে দিতে চাইলে তারা চিৎকার শুরু করেন।

 

চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন আনারুল নিতাই রায়কে আটক করে চিরিরবন্দর থানায় খবর দেন। পরে চিরিরবন্দর থানা পুলিশ তাদের আটক করে খানসামা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

 

খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, প্রতারণার শিকার প্রতারক উভয় পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা বলছেন তারা গরু কিনতে এসেছেন। তবে আটক প্রতারক চক্রের দুই সদস্য বলছেন, তারা ডলার বিক্রির জন্য টাকা নিয়েছেন। বিষয়ে থানায় একটি প্রতারণা মামলা হয়েছে।

 

প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে খানসামা থানায় এর আগেও একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।