পিরোজপুরে মাদক মামলায় মো. আজমল খান (৪৩) নামে এক যুবককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও অপর এক ধারায় তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম নূরুল ইসলাম আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আজমল খান পিরোজপুর সদরের দক্ষিন মাছিমপুর গ্রামের মৃত. আব্দুল আলী খান এর ছেলে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, পিরোজপুর সদরের মাছিমপুর গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে মো. সাইদ শেখ ও একই গ্রামের সুলতান মাহমুদ শেখের ছেলে তৌহিদ শেখ।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) জহুরুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাতে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে পিরোজপুর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিশেষ অভিযান চলাকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পিরোজপুর সদর উপজেলার দক্ষিন মাছিমপুর গ্রামের ছগির হাওলাদারের বাড়ির সামনে মাদক কেনাবেচার সময় মো. আজমল শেখকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৬৫ পিস ইয়াবা ও ৫০ গ্রাম উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর দুই আসামিকে আটক করা হয়। পরে ওইদিন পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল জলিল হাওলাদার বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মাদক মামলা করেন।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর পিরোজপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নরুল আমিন সিকদার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এ মামলায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এক আসামিকে ৬৫ পিস ইয়াবা বিক্রির দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন। এছাড়া ৫০ গ্রাম গাঁজা বিক্রির দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এবং অপর দুই আসামিকে খালাস প্রদান করেন।