ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

সিআইডি পরিচয়ে প্রতারণা, নারীসহ গ্রেফতার ৩

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৭, ২০২১

সিআইডি পরিচয়ে প্রতারণা, নারীসহ গ্রেফতার ৩

হাতে ওয়াকিটকি। পরনে জিন্স প্যান্ট আর গায়ে শার্ট। সাথে একটি প্রাইভেট কার। ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানে চাকরীর প্রলোভন দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে সিআইডি পরিচয়ে প্রতারণা চালিয়ে আসছিলেন তারা। সিআইডির লোগো ব্যবহার করে খুলেছেন ফেসবুক প্রোফাইল। সেই ফেসবুক প্রোফাইলে চালাতেন ভূয়া ব্যবসায়ীক কার্যক্রম। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার বেশ কয়েকজন যুবকদের দেশ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন কোম্পানী লিঃ এ চাকরী দেয়া হবে বলে কৌশলে প্রতারণা করে বেশ কয়েক জনের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন চক্রটি। গতকাল বুধবার ওই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বাগমারা থানা পুলিশ।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ভূয়া সিআইডির অফিসার ওই প্রতিষ্ঠানের এমডি মৌসুমী খাতুন (২৫), তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম (৪০) এবং রাজু আহম্মেদ (৪২)। রাজশাহীতে অফিস খুলে তারা যুবকদের চাকরীর প্রলোভন দিয়ে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন। গ্রেপ্তারকৃত মৌসুমী খাতুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর গ্রামের তাজাম্মুল হকের মেয়ে, তার দুই সহযোগীর মধ্যে আশরাফুল ইসলাম রাজশাহীর দরগাপাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে এবং রাজু আহম্মেদ দামকুড়া উপজেলার নতুন কশবা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।

 

সম্প্রতি তারা দেশ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন কোম্পানী লিঃ-এ বেকার যুবকদের চাকরী দেয়ার নামে অর্থ নিয়ে আত্মসাৎ করে চলেছেন। এরই অংশ হিসেবে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শাখা অফিস হিসেবে তাহেরপুরে একটি অফিস খোলার কথা রয়েছে। সে মোতাবেক বুধবার দুপুরে তাহেরপুর বাজারে প্রাইভেট কার যোগে আসেন তারা। ১০ জনকে ওই অফিসে চাকরী দেয়ার কথা বলে ৫ জনের নিকট থেকে নগদ ১০ হাজার করে টাকা নেন। বাকি ৫ জনের নিকট থেকে টাকা নিতে এসেছিলেন তারা। এ সময় তাদের আচার আচরনে অসংগতি লক্ষ্য করায় পুলিশে খবর দেয় প্রতারণার শিকার যুবকরা। পরে পুলিশ গিয়ে প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেন। প্রতারণার শিকার যুবকদের মধ্যে মুরাদ হোসেন নামের একজন বাদী হয়ে রাতে তাদের বিরুদ্ধে বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার বাদী মুরাদ হোসেন বলেন, আমরা কেউ তাদের প্রতারণার ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। কোন অফিস ছাড়াই তাদের কোম্পানীর কাজ চালাতে হবে এবং লোকজনের নিকট থেকে টাকা নিয়ে তাদেরকে দিতে হবে। তাদের কথায় নানা অসঙ্গতি থাকায় পুলিশে খবর দিই। পরে পুলিশ এসে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।

 

এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা চারকী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে যুবকদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছে। সেই সাথে পুলিশ পরিচয়ে অবৈধভাবে ওয়াকিটকির ব্যবহার করে লোকজনদের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার আদালয়ের মাধ্যমে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হবে।