পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত সাংবাদিকের মামলা না নেয়ায় এবং বাদীকে হুমকি দেয়ায় ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্বজনরা।
মঙ্গলবার ইন্দুরকানী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে হামলায় আহত দৈনিক জনতার উপজেলা প্রতিনিধি মো. কামরুল ইসলামের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আ. লতিফ হাওলাদার।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, গত ২৬ নভেম্বর আমার নাতি কামরুল ও রেজাউল প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ব্যাপারে আমার ভাগ্নে হাবিবুর রহমান ইন্দুরকানী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. এনামুল হক মামলা নিবে বলে তার কাছ থেকে কৌশলে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। মামলা নেয়ার জন্য সাংবাদিকরা সুপারিশ করলে বাদীর সামনে বসে সাংবাদিকদের মা ও বোনকে নিয়ে আপত্তিকর ভাষায় গালাগাল দেয়। কিন্তু অধ্যবধি পর্যন্ত তিনি মামলা না নিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে তাদের ঘুরাইতেছে।
এ বিষয়ে আহতের পরিবার মঙ্গলবার ইন্দুরকানী বাজারে মানববন্ধন করতে চাইলে ওসি এনামুল হক মোবাইল ফোনে বাদী হাবিবুর রহমানকে হুমকি দেয় ও তাকে জেলের ভাত খাওয়ানোর ভয়-ভীতি দেখায়। এবং সাংবাদিক কামরুল ইসলামের ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে তিনি নিরুপায় হয়ে ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে আশ্রয় নেন এবং তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
আ. লতিফ হাওলাদার আরও বলেন, ওসি ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা করতে আসলে ওসি এনামুল হক তাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে হয়রানি করে এবং বাদী ও বিবাদী উভয় পক্ষের কাছ থেকে টাকা ঘুষ নিয়ে ঘুরাতে থাকে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। এমনকি কাউকে সম্মান দিয়েও কথা বলেন না। তিনি এই ওসির বদলী সহ তার শাস্তি কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা জেপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা মো. মোশাররফ হোসেন, সাবেক প্রধান শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা ধীরেন হাজরা এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
থানায় অভিযোগকারী সাংবাদিক হাবিবুর রহমান জানান, আমার ভাতিজা কামরুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় ইন্দুরকানী থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মো. এনামুল হক আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়। কিন্তু তিনি মামলা না নিয়ে আমাকে ঘুরাইতেছে। সাংবাদিকদের এবিষয় বললে তারা মামলা নেয়ার সুপারিশ করলে ওসি আমার সামনে সাংবাদিকদের মা বোন তুলে খারাপ ভাষায় গালি দেয়।
এব্যাপারে মঙ্গলবার ইন্দুরকানী বাজারে মানববন্ধন করতে চাইলে ওসি এনামুল হক মোবাইল ফোনে আমাকে হুমকি দেয় ও জেলের ভাত খাওয়ানোর ভয়ভীতি দেখায়। এবং আমার ভাতিজা সাংবাদিক কামরুল ইসলামের ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে আমি নিরুপায় হয়ে ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে আশ্রয় নেই এবং সাংবাদিকদের কাছে আমার বক্তব্য তুলে ধরি।
এ ব্যাপরে ওসি এনামুল হক জানান, আমি অন্যায়কারীকে প্রশ্রয় দি না। আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করলে আমার কিছু যায় আসে না।