ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, অক্টোবর ১৯, ২০২৪ |

EN

বাইরে তালা, ভেতরে প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৭, ২০২১

বাইরে তালা, ভেতরে প্রেমিক-প্রেমিকার মরদেহ

গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে ইভানা রোজারিও (২২) ও হৃদয় গমেজ (২৫) নামের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছ পুলিশ। তাঁরা দুজন প্রেমিক- প্রেমিকা বলে জানা গেছে। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ প্রেমিক হৃদয় গমেজের বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে পুলিশের ধারণা, প্রেমিকা ইভানা রোজারিওকে হত্যার পর প্রেমিক হৃদয় গমেজ আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আনিসুর রহমার।

 

জানা যায়, গতকাল বুধবার সকালে হৃদয় গমেজের মা স্থানীয় ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে যান জমি রেজিস্ট্রি করতে। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ডেকে আনেন প্রেমিকা ইভানা রোজারিওকে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রেমিক হৃদয়ের মা বাড়ি ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। পরে জানালা দিয়ে দেখেন ঘরের মেঝেতে দুজনের মরদেহ পড়ে আছে। প্রেমিকের মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই প্রেমিক প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাটি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়া গ্রামে ঘটে।

 

নিহত হৃদয় গমেজ উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়া গ্রামের মৃত সমর গমেজের ছেলে। ইভানা একই উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের বান্দাখোলা গ্রামের স্বপন রোজারিওর মেয়ে।   

 

ওসি জানান, সকালে হৃদয়ের মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে কোনো এক সময় প্রেমিকা ইভানাকে বাড়ি ডেকে আনেন। পরে সকাল থেকে সন্ধ্যার কোনো এক সময় প্রেমিকাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা শেষে হৃদয় নিজেই নিজের পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যা করেন।

 

ওসি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে দেয়াল টপকে ঘরে প্রবেশ করে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করি। এ সময় প্রেমিক হৃদয়ে পেটে ছুরিকাঘাত ও হাতে ছুরি ছিল এবং প্রেমিকা ইভানার গলায় ছুরিকাঘাত ছিল। ঘরের মেঝেতে প্রেমিকার ওপর প্রেমিকের মরদেহ পরে ছিল। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা পরিবার মেনে না নেওয়ায় দুজনে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। 

 

ওসি আনিসুর রহমান আরও বলেন, দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।