শহর ঘুরে ঘুরে শীতবস্ত্রহীন ছিন্নমুল শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন নেত্রকোণা জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মো ফয়েজ আহমেদ। তিনি শহরের বড় স্টেশন ও কোর্ট স্টেশন এলাকায় মাঝরাতে শীতার্থ মানুষদের গায়ে জরিয়ে দিচ্ছেন কম্বল।
গত রাত শহরের দুটো স্টেশনের ৩০ জন ভাসমান শুয়ে থাকা অসহায়দের কম্বল পরিধানে সাথে ছিলেন সদর উপজেলার মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ। শীতের শুরুতেই শহর এবং গ্রামের ভাসমান শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ দেখে অন্যান্য মানুষেরাও পুলিশের প্রশংসা করছেন। বিশেষ করে মানবিক সংগঠনগুলো বলছেন সমাজের উর্ধতন কর্মকর্তারা এভাবে প্রতিটি কাজে এগিয়ে আসলে বিত্ত বৈভবের মালিক যারা তারা অন্তত শিখবে।
এদিকে কম্বল পেয়ে দারুণ খুশি অসহায় শীতার্থরা। বয়সের ভারে অনেকে শীতে বেশি কাবু হয়ে পড়েন। তাদের কেথাও স্বজন আত্মীয় নেই। এদের পাশে এভাবে হঠাৎ শীত বস্ত্র নিয়ে হাজির হওয়ায় আনন্দে উদ্বেলিত তারাও। সদর উপজেলার মডেল থানাধীন শহরের বড় স্টেশন এবং কোর্ট স্টেশন এলাকায় শনিবার ভোর রাতে কম্বল এসকল বিতরণ করা হয় বলে জানান মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ। তিনি বলেন, ঠান্ডায় স্টেশন চত্বরে কুকড়ে শুয়ে থাকা শীতবস্ত্রবিহীন ছিন্নমুল মানুষুগুলোর গায়ে পড়িয়ে দেয়া হয় কম্বলগুলো।
পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ জানান, দুটো স্টেশনে ঘুরে মাত্র ৩০ জন শীতার্থদের মাঝে দিয়েছি। একেবারে বেশি কিছু না। কিন্তু এই মানুষগুলো শীতে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছিলো। এছাড়াও জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার লেপসিয়া তদন্ত কেন্দ্র, মোহনগঞ্জ, কলমাকান্দা, বারহাট্টার ফকিরাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পাশে, পুলিশ লাইন্সে সর্বমোট আড়াই শতাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে এরই মাঝে।
তিনি বলেন, শীত চলে আসছে পুরোপুরি। কিন্তু স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় দেখছি রাতে গায়ের পাতলা লুঙ্গি অথবা শাড়িটা প্যাচিয়ে খোলা জায়গায় মানুষ শুয়ে আছে। এটা খুব কষ্টের। যে কারণে আমরা ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন স্থানে এমন ছিন্নমুল অসহায়দের গায়ে অন্তত কিছুটা শীত নিবারনের জন্য একটি করে কম্বল দিয়ে আসছি।