ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসদরের চৌরাস্তায় মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক ঘেঁষা "বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভে" বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল রাতের আঁধারে ভাঙার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭টায় খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করে প্রতিবাদ জানায়।
রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, পৌর মেয়র সেলিম রেজা লিপন মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারেফ হোসাইন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব প্রমুখ।
এ ঘটনার পর থেকেই বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৮টায় উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এম এম মোশাররফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে পৌরবাজারের সোনালী ব্যাংকের মোড়ে এক প্রতিবাদ সভা করে দলটি। প্রতিবাদ সভায় স্থানীয় প্রশাসনকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে ঘটনাটির তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দাবি জানানো হয়। না হলে দলীয়ভাবে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী জানায় নেতাকর্মীরা।
ঘটনাস্থলের পাশে ভ্রাম্যমাণ হালিম বিক্রেতা শামচু বিশ্বাস ও আফসার বিশ্বাস বলেন, আমরা বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এখানে বেচাকেনা করি। বেচাকেনার ব্যস্ততায় আশে পাশে তেমন কাউকে দেখতে পারিনি। তবে কয়েকদিন একজন মানসিক প্রতিবন্ধীকে স্মৃতিস্তম্ভের মধ্যে রাত্রিযাপন করতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ মোর্তুজা আলী তমাল বলেন, কোনভাবেই বঙ্গবন্ধুর অবমাননা মেনে নেওয়া হবে না। এটা জামায়াত-শিবির ও বিএনপির চক্রান্ত বলে তিনি জানান। উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পৌর কাউন্সিলর আ. মান্নান মোল্যা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘটনাটিকে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবির-বিএনপির নাশকতা বলে দাবি করেছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বোয়ালমারী থানার ওসি মুহাম্মাদ আব্দুল ওহাব জানান, আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশেপাশের দোকানপাটের লোকজন তাৎক্ষনিক কিছু বলতে পারেনি। তবে ঘটনাস্থল থেকে কিছু ভাঙা ইটের টুকরা জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এলাকাটি পুলিশ পাহারায় রাখা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসাইন বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার। আওয়ামী লীগের কঠোর কর্মসূচির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, দলীয় নেতৃবৃন্দ তাদের কাজ করেছেন; প্রশাসন চেষ্টা করছে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের।