স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে প্রতিটি মানুষেরই চাই ভালো টয়লেট। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, টয়লেটকে এড়িয়ে চলার কোনো সুযোগ কারোরই নেই। এ ছাড়া এখন করোনাকাল চলছে, এ সময়ে টয়লেট ব্যবহারে খুবই সতর্ক হতে হবে।
বিশ্ব টয়লেট দিবস আজ। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয় ৷শতভাগ টয়লেট সুবিধা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি মাথায় রেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালন করে থাকে। বাংলাদেশেও আজ দিবসটি পালিত হচ্ছে।
এবারের টয়লেট দিবসের উদযাপন ভূগর্ভস্থ জলের উপর স্যানিটেশন সংকটের প্রভাবের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে ৷জাতিসংঘের এবছরের প্রচারাভিযান হচ্ছে- ‘মেকিং দ্য ইনভিজিবল ভিজিবল’ অর্থাৎ কীভাবে অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা মানব বর্জ্য নদী, হ্রদ এবং মাটিতে ছড়িয়ে দেয় এবং ভূগর্ভস্থ জলের সম্পদকে দূষিত করে তার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে । প্রচারাভিযান অনুসারে, এই সমস্যাটি অদৃশ্য বলে মনে হচ্ছে। কারণ এটি ভূগর্ভস্থ হয় এবং এটি সবচেয়ে দরিদ্র এবং সবচেয়ে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘটে ।
টয়লেট মানেই সেখানে জীবাণুর কারখানা। তাই টয়লেট পরিচ্ছন্নভাবে ব্যবহার করা খুবই জরুরি। টয়লেট ব্যবহারের পর টিস্যু ব্যবহার করুন। অ্যান্টিসেপটিক সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন। টিস্যু ব্যবহারের পর নির্ধারিত ঝুড়ি বা বাস্কেটে ফেলুন। কমোড হলে বসার জায়গা ভালো করে দেখে নিন। টয়লেট ব্যবহার করার পর ফ্ল্যাশ ব্যবহার করতে কোনোভাবেই ভুলবেন না। মেয়েদের ক্ষেত্রে স্যানিটারি ন্যাপকিন কখনো ফ্ল্যাশ করা ঠিক নয়। নোংরা ন্যাপকিন ডাস্টবিনে ফেলুন। এ ছাড়া টয়লেটে কমোড না থাকলে বসার আগে খানিকটা পানি ঢেলে দিয়ে তারপর ব্যবহার করতে হবে।
২০০১ সালে বিশ্বে টয়লেট ব্যবহার ও স্যানিটাইজেশন সম্পর্কে ক্যাম্পেইন শুরু করে ওয়ার্ল্ড টয়লেট অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউটিও)। এরপর থেকে প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।