মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে পদ প্রত্যাশিরা তৎপর হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে প্রার্থীরা নেমেছেন লবিং ও তদবিরে। পদ প্রত্যাশিরা অনেকেই আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারক নেতাদের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ রাখছেন। কেউ কেউ এই নেতাদের বাসাবাড়ি ও অফিসে গিয়ে পদ পাওয়ার আশায় ধরণা দিচ্ছেন।
সাটুরিয়া আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন সোমবার। এই সম্মেলনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে। কে হচ্ছে সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। নতুন মুখ না পুরানো মুখ থাকবে এ নিয়ে নেতাকর্মীরা চায়ের দোকানে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। সাত বছর পর ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ফুকুরহাটি কান্দাপাড়া মজিবর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে।
এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ মালেক এমপির সানির্ধ্য পেতে উপজেলার প্রধান সড়ক ও বিভিন্ন অলিগলি পোষ্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে। পোষ্টার ও ব্যানারেবর্ণিল সাজে সেজেছে ফুকুরহাটি কান্দাপাড়া মজিবর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়।
ঢাকা আরিচা মহাসড়কের গোলড়া থেকে মজিবর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের দুপাশে তোরণ,ব্যানার ফেস্টুন ও পোষ্টার লাগানোর প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত নেতাকর্মীরা।
সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি পদে আলহাজ্ব ফজলুর রহমান ও মোঃ আনোয়ার হোসেন খান জ্যোতির নাম শুনা যাচ্ছে।
সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ আফাজ উদ্দিন,মোঃ রহুল আমিন, মোঃ গোলাম হোসেন, আমজাদ হোসেন লালমিয়া ও মোঃ মোশারাফ হোসেন বাকা পোষ্টার ব্যানার সাটিয়ে জানান দিয়েছে।
এসব প্রার্থীরা অর্ধকোটি টাকার ব্যানার পোষ্টার ও গেট নির্মান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের প্ররোক্ষ ভোটা ভোটি না হওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ মালেক সমন্নয়ে যাকে ঘোষনা দিবেন সেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন। এ কারণে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা বড় আকারের শোডাউন করবে বলে জানা গেছে।
ইতিমধ্যে প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় লোক সমাগম করছেন। প্রার্থীদের ধারণা যে যত বড় শোডাউন করবে সেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে পারেন।
অপরদিকে সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানান, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যারাই সভাপতি ও সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন তাদের পূর্বের কাজের মূল্যায়ন করে নীতি নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নিবেন এবার সম্মেলনে নতুন মুখ আসবে নাকি পুরাতন মুখ থাকবে। তৃণমূল কর্মীরা আরো বলেন, যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে মূল্যায়ন করে পদ দেওয়া উচিত বলে মরে করেন।
সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফাজ উদ্দিন দশ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন মুখ সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন সিনিয়র সহসভাপতি মোঃআনোয়ার হোসেন খান জ্যোতি, সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ হচ্ছেন বালিয়াটি ইউনিয়ন আওমীলীগের সভাপতি মোঃ রহুল আমিন, সদস্য আমজাদ হোসেন লালমিয়া, যুগ্ন সম্পাদক হাজ্বী গোলাম হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেন বাকা।
বর্তমান সভাপতি আলহাজ্ব ফজলুর রহমান বলেন, সাটুরিয়া ছিল বিএনপির ঘাটি। সে বিএনপির ঘাটি ভেঙ্গে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাটুরিয়া উপজেলা থেকে নৌকা প্রতীকে প্রায় ৩০ হাজার ভোট বেশি দিয়েছি। এছাড়া দলকে সুসংগঠিত রেখেছি। দলের র্দুদিনে আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। আশা করি দলের নীতি নির্ধারকরা আমাকে পুনরায় সভাপতি নির্বাচন করে মূল্যায়ন করবে বলে আশা করি।
এদিকে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফাজ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের গুরুপ্তপূর্ণ পদে থেকে দলকে সুসংগঠিত করেছি। আশা করি দল আমাকে পুনরায় আবার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করে মূল্যায়ন করবেন।