ফেসবুকের বন্ধু তালিকা স্ক্রল করলে দেখা যাবে, সেখানে এমন অনেক মানুষ আছেন যাদের আপনি চেনেন না। আবার বন্ধু তালিকায় থাকা কেউ কেই আপনাকে বিরক্ত করেন। তাই তাদের বন্ধু তালিকা থেকে ছাটাই করতে চান? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে আজকের দিনটি আপনার। কারণ আজ আনফ্রেন্ড দিবস।
বন্ধু বা ফ্রেন্ড শব্দটি অনেক আগে থেকেই আমাদের খুব পরিচিত একটি শব্দ। বলতে গেলে শত বছরের প্রচলিত একটি শব্দ। কিন্তু, 'আনফ্রেন্ড' শব্দটির সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মের মাধ্যমে। অক্সফোর্ড ডিকশনারির ২০০৯ সালের সেরা শব্দ ছিল 'আনফ্রেন্ড'। যার সংজ্ঞা হলো- ফেসবুকের মতো সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটে কাউকে 'বন্ধু' তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।
কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেল ২০১৪ সালে 'আনফ্রেন্ড ডে' প্রতিষ্ঠা করেন। দিনটি প্রচলনের উদ্দেশ্য ছিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত ও বিরক্তিকর ব্যক্তিকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেওয়া।
তিনি মনে করতেন, সামাজিকমাধ্যমে এমন অনেকে বন্ধু তালিকায় যুক্ত হয়ে যান, যাদের আমরা চিনি না। এমনকি তাদের সঙ্গে আমাদের কখনো যোগাযোগও হয় না। তাই তাদের থেকে পরিত্রাণ পেতে তিনি আনফ্রেন্ড দিবসের প্রচলন করেন।
আনফ্রেন্ড দিবস উদযাপন করার সেরা উপায় হলো- আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের বন্ধু তালিকা স্ক্রল করুন। দেখবেন এমন অনেক প্রোফাইল আছে যাদের সঙ্গে আপনার কখনোই যোগাযোগ হয়নি। তাই এসব অপ্রয়োজনীয় প্রোফাইলকে আনফ্রেন্ড করতে পারেন। এতে আপনার বন্ধু তালিকা আরও সমৃদ্ধ হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাউকে যোগ করতে পারবেন।
আবার এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যারা অনেক সময় অহেতুক এসএমএস দিয়ে বিরক্ত করেন। উল্টা-পাল্টা কমেন্ট করেন। তাই এমন ব্যক্তিদের চাইলে আজ আনফ্রেন্ড করতে পারেন। এটাই হতে পারে আনফ্রেন্ড দিবসের সেরা উদযাপন।