ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪ |

EN

পাবনায় অত্যাধুনিক অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫

পাবনা প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, নভেম্বর ১৪, ২০২২

পাবনায় অত্যাধুনিক অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫
পাবনায় চরমপন্থি  চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এরা আটঘরিয়ার একদন্তে আত্মসমর্পনকৃত সর্বহারা নেতা চাঞ্চল্যকার মুসা হত্যায় জড়িত।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মাসুদ আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রোকনুজ্জামান সরকারসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চাটমোহরের কদমতলীর আব্দুল হাই সামাদের ছেলে সাইফুর ইসলাম ওরফে শুটার সিরাজ (২৫)। আটঘরিয়ার নগরচাচকিয়া উত্তরপাড়ার মো. নায়েব আলীর ছেলে মো. একরাম হোসেন (২৫), আমিনপুর থানার চর দূর্গাপুরের কোরবান ব্যাপারীর ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম (২৫), আতাইকুলা থানার সাদুল্লাহপুরের ফারাদপুর নতুনপাড়ার গফুর প্রামাণিকের ছেলে নাহিদুল ইসলাম শাকিল (১৯) ও রাজবাড়ী জেলার চরভরাটের মো. আজিজুল আয়নাল প্রামানিকের ছেলে জালাল প্রামানিক (২৮)।

মো. আকবর আলী মুনসী জানান, আটঘরিয়া থানার একদন্ত ইউনিয়নের অলির মোড়ে সর্বহারা নেতা মুসা খাঁ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আসামিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে আতাইকুলার ফারাদপুর নতুন পাড়ার মো. নাহিদের বাড়িতে সর্বহারাদের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশের দুটি চৌকশ দল। 

অভিযানে ৫ চরমপন্থিকে কোনও ধরনের রক্তপাত ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১টি ওয়ান শুটার গান, ১টি বিদেশি এসএমসি, এসএমসি'র ম্যাগাজিন, এসএমসি'র ১৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি শর্টগান, ৩২ রাউন্ড বারো বোরের তাজা কার্তুজ, ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য,  গত ২৬ অক্টোবর আটঘরিয়া থানার একদন্ত ইউনিয়নের অলির মোড়ে নজিবুলের চায়ের দোকানের পেছনে ক্যারাম খেলছিল ২০১৯ সালে আত্মসমর্পনকৃত (১৬নং সিরিয়াল) সর্বহারা নেতা মুসা খাঁ (২৮)। বিকালে পৌনে ৫টার দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসী প্রকাশ্য দিবালোকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে মুসা খাকে খুন করে। এসময় তারা সর্বহারা জিন্দাবাদ, মাওবাদি বলশেভিক জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে পালিয়ে যায়।