Can't found in the image content. তিন দশক ধরে চেষ্টা করেও পাননি স্থায়ী ঠিকানা! | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৫ | ১ ফাল্গুন ১৪৩১

EN

তিন দশক ধরে চেষ্টা করেও পাননি স্থায়ী ঠিকানা!

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, নভেম্বর ১৩, ২০২২

তিন দশক ধরে চেষ্টা করেও পাননি স্থায়ী ঠিকানা!
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ২ নং বদলপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের গোপের হাটির ৮৫ বছরের বৃদ্ধ যোগেশ দাস।এই বৃদ্ধ বয়সে স্ত্রী রাধারাণী দাসকে (৭৫) নিয়ে একরকম চলছে তার দিনকাল।

সন্তানহীন এই দম্পতি কখনও ভাইয়ের ছেলেদের আশ্রয় আবার কখনও পরিচিত দূ: সম্পর্কেের আত্মীয়দের আশ্রয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন সারাটি জীবন। নিজেদের বলতে কোনকিছুই নেই।

সরকারীভাবে ১০ টাকা কেজির চাল (ন্য্যয্যমূল্য) এইটুকু সহায়তাই পান। বার্ধক্যজনিত কারনে নেই যোগেশ দাসের কোন আয় রোজগারের ব্যবস্থা। স্থানীয় মানবিক কিছু সংগঠনের ত্রাণ সহায়তা,ভাতিজা ও দূ:সম্পর্কের আত্বীয়স্বজনের দেওয়া খাদ্য সামগ্রী নিয়েই কাটছে তাদের জীবনের শেষ মূহুর্তগুলি।

যোগেশ দাসের সাথে সরাসরি আলাপে আমাদের সাথে আলাপচারিতায় তিনি জানান, বিগত ৩ দশক ধরে তার ও তার সহধর্মিণী রাধারানী দাসের জীবন যুদ্ধের বিভিন্ন করুন কাহিনী।

আলাপচারিতায় তিনি জানান, সরকার আসে সরকার যায়,ওয়ার্ড পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি (মেম্বার) কয়েকবার পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি তার জীবন সংগ্রাম। সামান্য খাদ্য ও স্হায়ী একটা ঠিকানার জন্য আজকে ৩ দশক ধরে চেষ্টা করেও পাননি কোন ফলাফল। তিন দশকে ওই শুধুমাত্র নায্যমূল্যের ১০ টাকা কেজি চাল ছাড়া কিছুই জুটেনি তার কপালে।

সাংবাদিকদের মাধ্যমে তার কোন কিছু চাওয়ার আছে কিনা জানতে চাইলে, কান্না জড়িত কণ্ঠে ৮৫ বছরের বৃদ্ধ যোগেশ দাস বলেন, "হুনচি হাসিনা সরকার নাকি ভিটামাটিহীনদেরকে জমিসহ ঘর দিতাছে,আপনারা যদি আমারে একটা ঘরের ব্যবস্থা আর বয়স্ক ভাতা পাওয়া এবং স্থায়ী একটা ঠিকানা করে দিতে পারেন তাহলে জীবনের শেষ দিনগুলি আমরা স্বামী-স্ত্রী দিন কাটিয়ে স্বস্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারতাম"।

যোগেশ দাসের ব্যাপারে জানিয়ে ২নং বদলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুশেনজিত চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে তাদের যেকোন একজনের আইডি কার্ড সংগ্রহ করে আপাতত বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করে দিবেন।

জায়গাজনিত কারনে আপাতত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর হচ্ছে না বদলপুর ইউনিয়নে। পরবর্তী ধাপে ঘর বরাদ্দ পেলে যোগেশ দাস দম্পতির স্থায়ী একটা ঠিকানার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।