ভোরের শিশির বিন্দুতে ছেয়ে যাচ্ছে ঘাস লতাপাতা। শীতের আগমনী বার্তা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
উত্তরে বাতাসে শিরশির অনুভব হচ্ছে। হাওয়ায় কমছে জলীয় বাষ্প আর বাড়ছে আর্দ্রতা। সকালে হিম হিম আমেজ । শেষ রাতে গায়ে কাঁথা চাপাতে হচ্ছে।
এবার আগেভাগেই শীত আসছে। এরই মধ্যে কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। সন্ধ্যা হলেই গায়ে লাগছে শীতের হাওয়া।
শীত জেকে বসার আগেই আগেভাগে গরম কাপড় কিনে শীত মোকাবেলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন অনেরকই। শীতের সবজি আগাম মিলছে বাজারগুলোতে। কমতে শুরু করেছে নদ-নদী ও পুকুরের পানি।
সীমান্তের কোল ঘেষা উত্তরের জেলা দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা দিনের বেলায় কিছুটা গরম বিরাজ করলেও রাতে ও সকালে হালকা শীত অনুভুত হচ্ছে। সন্ধা হলেই শীত আনুভুত হয়,রাত বাড়ার সাথে সাথে শীতের তিব্রতা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তাই শীত জেঁকে বসার আগেই পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে বেচা-কেনা শুরু হয়েছে গরম কাপড়। বিশেষ করে ফুটপাতে পুরাতন গরম কাপড়ের দোকান বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। ফুটপাতে কম দামে বিদেশি উন্নতমানের শীতের পোশাক পাওয়া যায় বিধায় নিম্নআয়ের লোকজন থেকে শুরু করে অভিজাত শ্রেণী পর্যন্ত সবার কাছে ফুটপাত বেশ জনপ্রিয়। অন্যান্য মার্কেটেও শীতের পোশাক তুলছেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া পৌর শহরের শীতের কাপড় তৈরির দোকানগুলোতেও আগেভাগেই লেপ-তোশক বানানোর অর্ডার পড়ছে। ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এসব দোকানের কারিগররা।
শিশির ভেজা সন্ধ্যা,রাতে ও সকালে হালকা শীত পড়ছে। আবার দিনের বেলায় অনুভূত হচ্ছে রোদের তাপ। শীত আর গরমের মাঝে দেখা দিচ্ছে স্বর্দী, কাশি সহ ঠান্ডা জনিত রোগ। তবে শীতের তীব্রতা দেখা দেয়ার আগেই এবছর পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে গরম কাপড় সংগ্রহ করছেন অনেকেই। নতুন কাপড়ের দাম বেশি তাই পুরাতন গরম কাপড় সংগ্রহ করতে ঝুকছেন আধিকাংশরাই। এজন্য সাধারণ অভিজাত দোকান গুলোতে এখনো ভীড় জমে না উঠলেও ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে যথেষ্ট ভীড় লক্ষ করা গেছে।
গরম কাপড় কিনতে আসা এনামুল হক জানান সামনে যে কোন সময় শীতের তীব্রতা বাড়তে পারে এ জন্য আগে ভাগেই গরম কাপড় সংগ্রহ করে রাখছি। এদিকে সরকারী ভাবে কিংবা কোন বেসরকারী সংস্থা গুলো এখনো শীত বস্ত্র বিতরণ করতে দেখা যায়নি।
পুরাতন কাপড় ব্যাবসায়ী সাদ্দাম হোসেন,আবুল কালাম আজাদ বলেন,এখন হালকা শীত অনুভুত হচ্ছে,তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে অনেকেই গরম কাপড় কিনতে আসছেন। শীত যত বাড়বে গরম কাপড়ের চাহিদাও বাড়বে। গত বছর শীতে করোনার করনে ব্যবসা তেমন ভালো হয়নি,তবে আসা করছি এবছর বেচা-কেনা ভালো হবে।