নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, অক্টোবর ৪, ২০২১
গাজীপুর
সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে
বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। আজ রোববার টঙ্গীর
বিভিন্ন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ অবরোধ
করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় আওয়ামী
লীগ নেতাকর্মীরা। এসময় সড়কে প্রায়
এক ঘণ্টার মতো যান চলাচল
বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি
মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে এক ব্যক্তির গোপনে
ধারন করা একটি ভিডিও
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে বঙ্গবন্ধু,
গোয়েন্দা সংস্থা ও জেলার কয়েকজন
গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের
অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে গত দুই
সপ্তাহ ধরেই মহানগর এলাকার
বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করছেন তারা। এর মাঝে গতকাল
শনিবার থেকে আবারও সড়ক
অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের
নেতাকর্মীরা।
পুলিশ
ও দলীয় সূত্রে জানা
যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রোববার বিকেল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ
মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হতে থাকে
স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ,
স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এরপর তারা টঙ্গীর
চেরাগ আলী, স্টেশনরোড ও
টঙ্গী বাজার এলাকায় জড়ো হয়ে সড়ক
অবরোধ করে। এতে সড়কের
উভয়পাশে প্রায় এক ঘন্ণ্টার মতো
যান চলাচল বন্ধ থাকে।
সরেজমিনে
দেখা যায়, টঙ্গীর স্টেশনরোড
এলাকায় সড়ক অবরোধ করে
রেখেছেন কয়েক’শ নেতাকর্মী।
সেখান থেকে বিভিন্ন স্লোগান
ও বক্তব্যে মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে
দল থেকে বহিষ্কারের দাবি
তোলেন তারা। এর বাইরে বিক্ষিপ্তভাবে
নেতাকর্মীদের একটি অংশ টঙ্গী
বাজার ও চেরাগ আলী
এলাকায় জড়ো হয়ে একইভাবে
বিক্ষোভ করেন। এতে সড়কের উভয়
পাশে যান চলাচল বন্ধ
হয়ে যায়। অনেক যাত্রীকে
হেঁটেই রওনা দিতে দেখা
গেছে। পুলিশ জনগণের ভোগান্তির বিষয়টি তুলে ধরে সড়ক
ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানালে সন্ধ্যার দিকে সড়ক থেকে
উঠে যায় তারা। এতে
আবারও যান চলাচল স্বাভাবিক
হয় সড়কে।
গাজীপুর
মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. ইলতুৎ মিশ
বলেন, বিক্ষোভকারীরা সড়কে নামার পর
থেকেই আমরা কঠোর অবস্থানে
ছিলাম। আমরা জনগণের ভোগান্তির
বিষয়টি তুলে ধরে সড়ক
ছেড়ে দেবার অনুরোধ জানালে সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে সড়ক থেকে
উঠে যায়। এরপর পুনরায়
যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর
মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান
বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কেউ বিরুপ
মন্তব্য করবে এমনটা কখনও
গাজীপুরবাসী মেনে নিবে না।
এ বক্তব্য মেয়রের নয়, এটা প্রমাণ
করার জন্য তার সামনে
সুযোগ ছিল। তবে তিনি
তা গ্রহণ করেননি। এটা নিয়ে বিক্ষুব্ধ
হয়ে উঠছে গাজীপুরের তৃণমূলের
আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মেয়রের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেন্দ্রকে জানানো
হয়েছিল। শুনেছি আজ তাকে শোকজ
করা হয়েছে।’