Can't found in the image content. বেজির কামড়ে আক্রান্ত শতাধিক, আতঙ্কে মানুষ | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

বেজির কামড়ে আক্রান্ত শতাধিক, আতঙ্কে মানুষ

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ১০, ২০২২

বেজির কামড়ে আক্রান্ত শতাধিক, আতঙ্কে মানুষ
হঠাৎ করে সিরাজগঞ্জে বেড়েছে বেজির উপদ্রব। গত ২০ দিনে ১২০ জনেরও অধিক মানুষ বেজির কামড়ের শিকার হয়েছে। বেজির এমন আচরণে চিন্তিত স্থানীয়রা।

চিকিৎসকরা বলছেন, বেজির কামড়ের কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

জানা যায়, সাধারণত বেজি দিনের বেলা খাবার সংগ্রহ করে আর রাতে গর্তে থাকতে পছন্দ করে। তবে এখন দেখা যাচ্ছে বেজি সকালে ও সন্ধ্যার দিকে মানুষকে বেশি আক্রমণ করছে।

সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার গোশালা, মালশাপাড়া, এসএস রোড, ধানবান্ধী মহল্লাসহ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বেজির কামড়ের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুধু সিরাজগঞ্জ শহরের গোশালা মহল্লায় গত ১৫ দিনে অন্তত ১০ জন বেজির কামড়ের শিকার হয়েছেন।

বেজির কামড়ের শিকার শহরের গোশালা মহল্লার রাজিব ও শহীদগঞ্জ মহল্লার রাজু জানান, সন্ধ্যার পর বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় হঠাৎ করে বেজি দৌড়ে এসে কামড়ে দেয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

সয়াধানগড়া মহল্লার আলো খাতুন জানান, দুপুরে বাড়ির বারান্দায় রান্নার জন্য সবজি কাটার সময় হঠাৎ করে বেজি দৌড়ে এসে হাতে কামড় দেয়।

ধানবাড়ি মহল্লার তুষার শেখ জানান, আমার ছোটছেলে একদিন স্কুলে যাওয়ার সময় বেজির ধাওয়া খেয়ে চিৎকার করে বাড়িতে চলে আসে। এছাড়াও ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা এখন বেজির ভয়ে বিকালে বাড়ির বাইরে খেলতে যেতেও ভয় পাচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফয়সাল আহম্মদ জানান, আগেও বেজি কামড়ের রোগী আসতো। তবে গত একমাস ধরে বেজি কামড়ের রোগী বেশি আসছে। প্রতিদিন প্রায় ৫-৬ জন বেজির কামড়ের শিকার হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এসব আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই গ্রাম অঞ্চলের মানুষ।

তিনি আরও জানান, বেজির কামড়ের শিকার ব্যক্তিরা যেন এটাকে অবহেলা না করেন। আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া দরকার। না হলে জলাতঙ্ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে।

এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার জানান, বেজি আসলে একটি বন্যপ্রাণী। হঠাৎ করে বেজির এমন আচরণের কারণ সম্পর্কে জানতে বন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। তবে বেজির কামড়ের পর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে জোর দেন তিনি।