হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় সুদের উপর দেড় লক্ষ টাকা ঋণ নেয়ার জামানত হিসাবে দেয়া খালি চেকে ১৪ লক্ষ টাকা বসিয়ে চেক ডিজঅনারের মিথ্যা মামলা করায় সুদ ব্যবসায়ী বাদীর বিরুদ্ধে উল্টো মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ঘটনায় মাধবপুর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসাইন পিবিআই এর তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বাদী হয়ে মিথ্যা মামলার আসামি আবুল কালাম ও অন্যান্যদের সাক্ষী করে মিথ্যা মামলার বাদী পূর্ব মাধবপুরের সুরত মিয়ার পুত্র সুদ ব্যবসায়ী মুন্না মিয়াঁকে আসামি করে হবিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন।
জানা যায়, সুদ ব্যবসায়ী মুন্না মিয়া কাছ থেকে আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তি ৩টি ব্লাংক চেক দিয়ে মাসিক ১৫ হাজার টাকা সুদ দেওয়ার কথা বলে দেড় লক্ষ টাকা নেন।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে ৯০ হাজার টাকা মুন্নাকে পরিশোধ করেন তিনি। এ অবস্থায় মুন্না ব্লাংক চেকে নিজেই ১৪ লক্ষ টাকা লিখে ব্যাংক থেকে ডিজঅনার করান। এরপর গত ৯ মে আবুল কালামের বিরুদ্ধে আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা দায়ের করে।
পরবর্তীতে আদালত মামলাটির তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন পিবিআইকে। চেক এর বিপরীতে কোন দালিলিক প্রমাণ দেখাতে না পারায় এবং তদন্ত শেষে লেনদেনের শতভাগ সততা না পাওয়ায় সুদি মুন্নার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
আদালত তার পর্যালোচনায় বলেন, মামলায় লেনদন বিষয়ে কোন লিখিত চুক্তিপত্র নেই। চেকের স্বাক্ষর এবং অন্যান্য লেখা দুটি ভিন্ন কলম দ্বারা ভিন্ন ব্যক্তি লিখেন।
অভিযাগকারী মুন্না মিয়া নিজেই চেকের টাকার অংক লিখেন। এমতাবস্থায় হবিগঞ্জ জেলার সামাজিক অবস্থা বিবচনায় দৃষ্টান্তমূলক আইনী পদক্ষপ গ্রহণ ও ঘটনার বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্তের উদ্দশ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাঃ শাহ নেওয়াজ কে আদেশ প্রাপ্তি তিন দিনের মধ্যে সুদ ব্যবসায়ী মুন্না মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ দেন।