২০০৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র আতিকুর রহমান শাকিল(১৪)কে ধানক্ষেতে রাতের আঁধারে নৃশংসভাবে জবাই ও পায়ের রগ কেটে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত দুই পলাতক আসামিকে দীর্ঘ ১৬ বছর পর কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-২।
২০০৬ সালের ১৫ অক্টোবর ১৯.০০ ঘটিকায় পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে আসামি মো. কবির হোসেন(৩৭) এবং মো. ইকবালসহ (৪২) অন্যান্য আসামিরা মিলে আতিকুর রহমান শাকিলকে (১৪) বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে শাকিলের বাড়ির পশ্চিম পাশে জাহের মিয়ার ধান ক্ষেতে নৃশংসভাবে জবাই করে এবং পায়ের রগ কেটে হত্যা করে। বর্ণিত ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নং-১৭(১০)২০০৬, জিআর মামলা নং-২৩৯/০৬, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড)।
ঘটনায় দায়ের কৃত হত্যা মামলায় কসবা থানা পুলিশ ১১ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুন্যাল দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০০৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ১১ জন আসামির মধ্যে ০১ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। এদের মধ্যে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ০১ জন ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত ০৭ জন আসামি পলাতক রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মো. কবির হোসেন(৩৭) এবং মো. ইকবাল(৪২) আদালতে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হলেও তারা পলাতক থাকে। পরবর্তীতে ২৫.০৪.২০২২ খি. তারিখে হাইকোর্ট উক্ত মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামি মো. কবির হোসেন(৩৭) এবং মো. ইকবাল(৪২)-এর যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় বহাল রাখেন। হাইকোর্টে রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিল।
এরই ধারাবাহিকতায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল ০৮ নভেম্বর বিকাল ৫টায় কুমিল্লার বুড়িয়াচং এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দীর্ঘ ১৬ বছর পর গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা হত্যাকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।