নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জেলখানা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। সে নিরাপদ জায়গায় হত্যার স্বীকার হয়েছিলেন জাতীয় চারনেতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা সপরিবারে হত্যা করেছিল তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। ৩ নভেম্বর জেলখানায় তারা এ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত করে।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের ধারাবাহিকতা ৩ নভেম্বর হত্যাকাণ্ড। মূলত তারা এসব হত্যাকান্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিল এবং তারা মনে করেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করলে কেউ আর মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবেনা, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলবেনা, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ থাকবেনা। বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও আবার পাকিস্তানের ভূখন্ড হিসেবে চিহ্নিত হবে। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র ও সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মুজিব আদর্শের যারা ছিল তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করেছে, বিচারের রায় কার্যকর করেছে।
তিনি আরো বলেন, এখন জাতি দাবি করছে যে, এ হত্যাকাণ্ডে যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিচার হয়েছে; কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে পারিনি। বিচার করতে পারিনি। বাংলাদেশে আমরা যারা আছি আমরা জানতে চাই-আগামি প্রজন্ম জানতে চায়-এত বড় জঘন্য হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে যারা ছিল তাদের চিহ্নিত হওয়া দরকার। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্রের সাহস না দেখায়। শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বীরের জাতিকে কলংকিত করেছিল মুষ্টিমেয় ষড়যন্ত্রকারি ও হত্যাকারিরা। সেখান থেকে আমরা কখনো বেরিয়ে আসতে পারবনা। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। সে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর প্রাঙ্গণে শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার বিশেষ চিত্র প্রদর্শনী’ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন।
শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. শেহরিন সেলিম রিপন এবং সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো.মজিবুর রহমান এসময় উপস্থিত ছিলেন।