দুলাল বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, অক্টোবর ৩, ২০২১
কৃষি
প্রধান জেলা গোপালগঞ্জ। এখানকার ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। তবে গোপালগঞ্জের
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কুশলী ইউনিয়নের লস্কর ডাঙ্গায় বছরের ১১ মাস পানি বন্দি থাকে ৩’শ
বিঘা ফসলি জমি। এতে ২ শ’ কৃষকের চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। জলাবদ্ধতায়
কৃষকের উৎপাদিত ফসল নষ্ট হচ্ছে। তাই সারা বছরই তাদের অর্থাভাবে কাটছে । এসব জমির পাশ দিয়ে প্রবাহিত
খালে খালে সুইচ গেট নির্মিত হলে কৃষকের ফসল রক্ষা পাবে। সেই সাথে সারা বছর বিভিন্ন ফসলের আবাদ করে তারা সুদিন ফেরাতে পারবে।
টুঙ্গিপাড়া
উপজেলার লস্করডাঙ্গা গ্রামের কৃষক হারেস ফকির, মিরাজ লস্কর, বেলায়েত হোসেন, হাসান গাজী
সহ আরো অনেকে বলেন, লস্করডাঙ্গায় প্রায় ১ হাজার
বিঘা আছে। এরমধ্যে ৩ শ’ বিঘা জমি ১১ মাস জলাবদ্ধ থাকে। জোয়ারের পানি ও লবন পানি ওঠে এসব জমিতে। ধান কাটার সময় কোমর সমান পানি থাকে। তখন আমাদের দুর্ভোগ
বেড়ে যায়। আমরা মাঝে মাঝে মাটি দিয়ে অস্থায়ী
বাঁধ তৈরি করি। কিন্তু জোয়ারের চাপে সে বাধ ভেঙ্গে যায়। বছরের ১০ থেকে ১১ মাস পানিবন্দি হয়ে থাকে ৩’শ বিঘা জমি। লস্কর ডাঙ্গার পাশ প্রবাহিত
খালের সাথে বর্নি বাওড়ের সংযোগ রয়েছে। এ কারণে শীত মৌসুমে জোয়ারের পানি জমিতে চলে আসে।
এছাড়া মার্চ-এপ্রিলের দিকে লবণপানি জমিতে ঢুকে ফসল নষ্ট হয়। এতে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি
হয়। তাই এ খালে একটি সুইচ গেট করে দিলে আমাদের এ সমস্যা নিরসন হবে। ধান সহ অন্যান্য
ফসল উৎপাদন করে আমরা ভাল থাকতে পানব।
কুশলী
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন গাজী বলেন, একটি ¯øুইচ গেটের অভাবে
কৃষকরা চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিবছর অন্তত ১ হাজার মন ধান পানিতে ডুবে নষ্ট হয়।
এতে কৃষকের অভাব অনটন লেগেই রয়েছে। এখানে একটি সুইচ গেট নির্মাণ করে জোয়ার ও লবন পানি
প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। তাই কৃষকদের রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে সুইচ গেট নির্মাণের
দাবি জানাচ্ছি। এতে দেশ ও ইউনিয়নের কৃষকেরা লাভবান হবে। তখন একটি সুইচ গেট হয়ে উঠবে
এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জাদুর কাঠি।
টুঙ্গিপাড়া
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাশেদুল ইসলাম বলেন, এলাকাবাসী সুইচ গেট চাচ্ছেন।
ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে সুইচ গেট রিনর্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করবো। তারপর উর্ধতন
কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়ে আমি এটি
বাস্তবায়নের চেষ্টা করবো।