শীতের আভাষে, ফুটপাতে বসেছে পিঠার দোকান। জমে উঠেছে পিঠা প্রেমীদের ভীড়।
ঋতু বৈচিত্র্যের বাংলায় ১২ মাসে ছয় ঋতু। অর্থাৎ দুই মাসে এক ঋতু। প্রত্যেক ঋতু নানা ভাবে বৈচিত্র্যময়। বর্তমানে হেমন্ত ঋতু চলছে। সোনালী হেমন্ত পেরিয়ে আসে শীত। আর শীত ঋতু মানেই বাঙালির পিঠা-পুলির উৎসব। তবে শীত আসতে এখনো বেশ দেরী থাকলেও; হিমলায় ঘেঁষা উত্তরের জেলা দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এখনেই বেশ শীত অনুভব হচ্ছে। আর এই শীত আসতে না আসতেই বাজার কিংবা গোলির মোড়ে অস্থায়ী ভ্রাম্যমান পিঠার দোকান বসেছে অনেক। আর এসব পিঠার দোকানে শুরু হয়েছে পিঠা প্রেমীদের ভীড়। দোকানীরা নানান রকমের পিঠা বানাতে ব্যস্ত।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরে পিঠা-পুলির স্বাদ ছড়িয়ে দিতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাহারী পিঠার পশরা সাজিয়ে বসিয়েছে দোকান। রাস্তার মোড়ে, গোলির মাথায় এসব দোকানে সকাল-বিকেলে এবং রাতে পিঠা প্রেমীরা ভিড় জমাচ্ছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের অনেককেই নানান রকম ও নানান স্বাদের পিঠা-পুলি খেতে এসব দোকানে আসছে।
সরেজমিনে পৌর শহরের কাঁটাবাড়ী, বাংলা স্কুলের মোড়, রেল স্টেশন, নিমতলা মোড়ে রিক্সাভ্যানে ভ্রাম্যমান পিঠার দোকান গুলোতে সন্ধ্যার পর থেকেই ভিড় করেছে তরুণ-তরুণীসহ সব বয়সের মানুষ। অনেকই আবার এসব পিঠা বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। পিঠার দোকানে গিয়ে কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বাড়িতে এতো সব পিঠা তৈরি করার ঝামেলা এড়াতেই দোকানে পিঠা খাচ্ছেন এবং বাড়ীতেও নিয়ে যাচ্ছেন। গ্রামীণ ঐতিহ্যের অনেক কিছুই এখন বিলুপ্তির পথে কিন্তু বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্র আছে যা বাঙালিরা কখনো বিলুপ্তি হতে দেয়নি। তারই একটি অংশ হলো শীতের এই পিঠা।
কাঁটাবাড়ী গ্রামের বাজার সড়কের পিঠার দোকানী মেহেদুল ইসলাম বলেন, সকালে এবং সন্ধ্যায় শীতের আভাস দেখা দিয়াছে। তাইতো মানুষ সিরিয়াল নিয়ে পিঠার দোকানে ভীড় জমিয়ে মুখরোচক পিঠা খাবার সাথে একটু সময় পার করছেন। তবে শীত যতোই বাড়বে পিঠা তৈরির ব্যস্ততা এবং চাহিদাও ততই বাড়বে। বিশেষ করে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সাথেই সিদ্ধ ডিম, চিতই পিঠা, নারিকেল আর গুড়ের সাথে ভাপা পিঠা, ডিম পিঠা অতুলনীয় স্বাদ গ্রহণ করছেন তারা। এসব পিঠা খাচ্ছেন ঝাল চাটনি, ধনে পাতার চাটনি, সরিষার চাটনি কিংবা খেজুরের গুড় দিয়ে।