ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

বরগুনায় জমিজমা বিরোধের জেরে কৃষক নিহত!

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, নভেম্বর ১, ২০২২

বরগুনায় জমিজমা বিরোধের জেরে কৃষক নিহত!
বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের গোলাঘাটা কড়ইতলা গ্রামে জমি জমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহত ওই কৃষকের নাম মো. ইউসুফ চৌকিদার (৫৫)। তিনি ওই গ্রামের শের আলী চৌকিদারের ছেলে।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় জমিজমা সংক্রান্ত সালিশ ব্যবস্থা শেষে প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি নিহত হন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউসুফ চৌকিদার ও প্রতিপক্ষ হানিফ চৌকিদার গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার বিকাল ৫টায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাদের জমি জমা নিয়ে সালিশ ব্যবস্থায় বসেন। তাদের সালিশ শেষে পুনরায় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ঘটে। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা ইউসুফ চৌকিদারকে লক্ষকরে ধারালো দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। ধারালো দায়ের কোপে তার মাথার খুলি ফেটে মজ্জা বেড় হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে বামনা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সন্ধ্যা সারে ৬টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে বামনা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের স্ত্রী নাসিমা বেগম জানায়, তাদের জমি জমা নিয়ে অনেক বছর ধরে প্রতিপক্ষ হানিফ চৌকিদার গংদের সাথে বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন তারা উভয় পক্ষ এই বিরোধ মেটানোর জন্য সালিশ ডাকেন। সালিশ শেষে তারা বাড়ি ফেরার সময় পুনরায় ওই জমি নিয়ে তার স্বামীর সাথে প্রতিপক্ষের বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রতিপক্ষ সলেমান চৌকিদারের ছেলে রাহাত (২০) একটি ধারালো রামদা দিয়ে তার স্বামীর মাথার ডানপাশে কোপ দেয়। সে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পরে। তার মাথার খুলি কেটে ভিতরের সব কিছু বেড়িয়ে যায়। এতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। তাৎক্ষণিক হানিফ চৌকিদার (৬০), রিমন (২২) হাবিব মাস্টার (৫৮), রানী বেগম (৪০) ও মহারাজসহ (৪০) আরও ৪/৫ জন তার স্বামীকে মারধর করে পালিয়ে যায়।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী দুলাল চৌধূরী বলেন, আমরা সালিশ শেষে চলে আসবো এমন সময় পুনরায় তারা ঝগড়ায় জড়িয়ে পরে। এ সময় প্রতিপক্ষরা ধারালো দা দিয়ে ইউসুফ চৌকিদারের মাথায় কোপ দেয়। কোপের আঘাতে তার মাথায় মারাত্মক জখম হয়।

এ ঘটনায় বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বশিরুল আলম বলেন, আমরা ঘটনাটি জানার সাথে সাথে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। নিহতের পরিবারকে থানায় এনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আগামীকাল নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনায় পাঠানো