ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, মার্চ ২৮, ২০২৪ |

EN

মাদ্রাসার সুপারের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: মঙ্গলবার, নভেম্বর ১, ২০২২

মাদ্রাসার সুপারের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার খয়েরবাড়ী দাখিল মাদ্রাসা সুপারেন্টেড মুহাম্মদ ইমামুল হকের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, দুঃশ্চরিত্র ও শ্লীতাহানীর অভিযোগে অপসরণ ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় খয়েরবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সামনে সড়কে দাড়িয়ে ঘন্টাব্যাপি মানবন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী সুমাই আক্তার, আরভী আক্তার নুপুর, রশিদুল ইসলাম ও সোহানুর রহমানসহ আরো অনেকে। এসময় তারা বলেন, মাদ্রাসার আয়া দুলালী আরাকে দীর্ঘদিন থেকে মাদ্রাসার সুপার বিভিন্ন ভাবে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এরই মধ্যে গত ৩ অক্টোবর সুপার মুহাম্মদ ইমামুল হকের কাছে দুলালী তার দুই মাসের বকেয়া বেতন চাইতে গেলে তার উপর চড়াউ হন এবং তাকে অশ্লিল ভাষায় গালি-গালজ করে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেন।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ইতিপূর্বেও মাদ্রাসার সুপার  শিক্ষিক ও শিক্ষার্থীদের সাথে অসাদআচরণসহ নানা কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। এরই প্রতিবাদে ওই সুপারের শাস্তিসহ মাদ্রাসা থেকে অপসরণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। তা নাহলে তারা  মাদ্রাসায় আসা বন্ধ করে দেবেন।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী মাদ্রাসার আয়া দুলালী আরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে সুপারেন্টেড তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছেন। এরই মধ্যে চলতি মাসের ৩ তারিখে তার  বকেয়া বেতন চাইতে গেলে, তিনি তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জুতা দিয়ে মারতে আসেন।

তিনি আরো জানান, এঘটনায় তিনি ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি ওই সুপারের শাস্তির দাবি জানান।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবক আফরোজা বেগম ও মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসার সুপার একজন দুঃশ্চরিত্র, লম্পট তার উপস্থিতিতে আমাদের সন্তানদের নিয়ে নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছি। ওই সুপার মাদ্রাসায় থাকলে আমরা আমাদের সন্তানদের আর মাদ্রাসায় পাঠাবো না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদ্রাসার একজন শিক্ষক বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সুপারেন্টেড মুহাম্মদ ইমামুল হক, মাদ্রাসায় অনুপস্থিত রয়েছে। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি তাকে শোকজ নোটিশ দিয়েছেন এবং বর্তমানে সহ- সুপারেন্টেড মো. সাইফুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সুপারেন্টেড এর দায়িত্ব প্রদান করেছেন কমিটি।

অভিযুক্ত মাদ্রাসার সুপারেন্টেড মুহাম্মদ ইমামুল হকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মাদ্রাসায় তাকে না পেয়ে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. লাবু মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান, বিষয়টি মাদ্রাসার সুপারেন্টেড মুহাম্মদ ইমামুল হককে পরপর দু'টি শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে যার জবাব দিয়েছেন সুপারেন্টেড কিন্তু তা সন্তোষ জনক নয়। দু'এক দিনের মধ্যে আরও একটি নোটিশ দেওয়া হবে। পরবর্তীতে কমিটির সিদ্ধান্ত ক্রমেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, এঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।