এবার কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় এক গৃহস্থের একটি পাতিহাঁস কালো ডিম দিয়েছে; যা নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত নারায়ণপুর ইউনিয়নের প্রামাণিক পাড়ার বাহার আলীর ছেলে ইব্রাহীমের পোষা পাঁচটি হাঁসের মধ্যে একটি হাঁস পর পর দুদিন দুটো কালো ডিম পেড়েছে বলে জানান নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশিকুজ্জামান।
এর আগে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় পাতিহাঁসের কালো এবং ধূসর ডিম পাড়ার খবরে হইচই শুরু হয়েছিল।
এ ঘটনার পর হাঁস দুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানিয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, হাঁসের জরায়ুতে সমস্যার কারণে এটি হতে পারে। আবার ভারতীয় ব্রিডের কাদারনাথ কালো মাসি জাতের মুরগি রয়েছে যেগুলো কালো রংয়ের ডিম পাড়ে। এগুলোর মাংসও কালো।
কুড়িগ্রামের ইব্রাহীম সাংবাদিকদের জানান, ছয় মাস আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে তিনি পাঁচটি পাতিহাঁস উপহার পান। এরমধ্যে একটি হাঁস ২৯ ও ৩০ অক্টোবর দুটো ডিম কালো দেয়। সাদা ডিমের পরিবর্তে কালো ডিম দেখে তিনি অবাক হন। বিষয়টি জানাজানির পর লোকজন তার বাড়িতে ডিম ও পাতিহাঁস দেখতে ভীড় করছেন।
ইব্রাহীমের স্ত্রী স্নাতকের শিক্ষার্থী রেহেনা বেগম জানান, “আমি হাঁসগুলোর দেখভাল করছি। পর পর দুটো কালো ডিম দেওয়ায় অবাক হয়েছি। এলাকার বয়স্করাও বলছেন, এমন ঘটনা তারা আগে দেখেননি।“
নাগেশ্বরী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আশিকুজ্জামান বলেন, “পাতিহাঁসের কালো ডিম পাড়ার সংবাদটি পেয়েছি। এটি বিরল ঘটনা। এটা অস্বাভাবিক ব্যাপার।”
“হাঁসের জরায়ুতে সংক্রমণ থাকার কারণে এমন হতে পারে। এ ছাড়া ডিম তৈরির জন্য যে পরিমাণ পিগমন্ডের দরকার তা যদি অনুপস্থিত থাকে তাহলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে”, বলেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।