জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, অক্টোবর ৩, ২০২১
সারারাত
ধরে একটি সরকারি বিদ্যালয়ের ছাঁদে নির্যাতনের পর এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পাবনার
ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের জিগাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে নির্যাতনের
ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম বিপ্লব ফকির (২৪)। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
গতকাল
শুক্রবার (০১ অক্টোবর) রাতে এই নির্মম ঘটনার শিকার হন বিপ্লব।
স্থানীয়রা
জানান, আজ শনিবার সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় বিপ্লবকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। নিহত বিপ্লবের বাড়ি ইউনিয়নের চর রূপপুর গ্রামে। নিহতের পরিবারের
দাবি, মাদক সেবনে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বিরোধের জেরে
এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তৌহিদুল ইসলাম (২৭) নামের একজনকে
আটক করেছে।
নিহত
ব্যক্তির স্বজনেরা জানান, রাত নয়টার দিকে বিপ্লব বাড়িতেই ছিলেন। হঠাৎ একটি ফোনকল পেয়ে
বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তাঁর আর খোঁজ মিলছিল না। সকালে স্থানীয় এক নারী বিদ্যালয়ের
ছাদে একটা কিছুর শব্দ শুনে প্রতিবেশীদের জানান। পরে ছাদে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বিপ্লবকে
পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত
বিপ্লবের বাবা পান্না ফকির জানান, খবর পেয়ে তিনি বিদ্যালয়ের ছাদে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায়
বিপ্লবকে দেখতে পান। তাঁর পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। দেখে বোঝা গেছে ছাদে রাতভর
নির্যাতন চালিয়ে তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ হত্যার বিচার চান।
রূপপুর
পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় নিহত
বিপ্লবের সঙ্গে শান্ত হোসেন (২৩) নামের এক যুবকের কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় বিপ্লবের
চাচা রতন ফকির রেগে গিয়ে শান্ত নামের ওই যুবককে চড়থাপ্পড় দেন। সেই থেকে বিপ্লবের ওপর
ক্ষিপ্ত ছিলেন শান্ত।
আতিকুল
ইসলাম জানান, আজ থেকে শান্ত নামের ওই যুবক পলাতক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শান্তর বড় ভাই
তৌহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের
জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।