ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪ |

EN

শীতের আগাম সবজি বাজারে : দাম চড়া

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, অক্টোবর ২৮, ২০২২

শীতের আগাম সবজি বাজারে : দাম চড়া
শীত পুরোদমে আসতে আরও মাসখানেক বাকি। তবে এর মধ্যেই বাজারে আসতে শুরু করেছে নানা ধরনের শীতের সবজি। নবীগঞ্জের প্রতিটি বাজারেই চোখে পড়ছে ডালা ভরে রাখা মুলা, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি এবং অন্যান্য শীতকালীন শাক সবজি। এসব আগাম শীতকালীন সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

ক্রেতারা বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ করলেও বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে সরবরাহ কম থাকায় শীতের সবজি একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, তবে দু-এক সপ্তাহের মধ্যে এই দাম কমে যাবে।

বাজারভেদে দামেরও হেরফের রয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, সবজিগুলো বাজারে নতুন ওঠানোর সময় দাম বেশিই রাখা হয়। কৃষকদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হয় বলে বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে। তবে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির সরবরাহ বেড়ে গেলে দামও কমে আসবে।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন ধরণের শীতের সবজি নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। সবজির মধ্যে শিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ থেকে ২০০ টাকায়, ফুলকপি প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ও বেগুন প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, পেপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, করলা ও ঝিঙ্গা ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

শীতের সবজির মধ্যে টমেটো থাকলেও এখন সারা বছরই টমেটো পাওয়া যায়। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। শীতের সবজির সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে জলপাইও। অনেকে ডাল বা টকের তরকারি হিসেবে জলপাই ব্যবহার করেন।

অনেকে জলপাইয়ের আচার বানান। জলপাই বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে। তবে শীতের নতুন আলু বাজারে আসেনি এখনো।

বিক্রেতারা জানালেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নতুন আলুও বাজারে পাওয়া যাবে। এদিকে দামের ক্ষেত্রে বেশ ভিন্নতাও পাওয়া গেছে।

পাশাপাশি দোকানের সবজির দামে হেরফের দেখা গেছে। বাজারভেদেও রয়েছে দামের ভিন্নতা। এক দোকানে শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। আবার পাশের দোকানেই বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। বেশি দামে বিক্রি করা বিক্রেতা দাবি করেছেন, তাঁর শিমের মান ভালো। এ কারণে দাম বেশি।

বাজারের সবজি বিক্রেতা বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরেই শীতের নানা ধরনের সবজি বিক্রি শুরু হয়েছে। দিন দিন সরবরাহ বাড়ছে।

তবে নতুন বলে দাম কিছুটা বেশি। আরেক বিক্রেতা জানালেন, বিক্রেতাদের বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। এ কারণে তাঁরা ক্রেতাদের কাছে দাম বেশি রাখছেন।

বেশি দাম প্রসঙ্গে সবজি বিক্রেতা রুহুল আমিন বলেন, শীত যত বাড়বে, শীতের সবজির সরবরাহ তত বাড়তে থাকবে। তখন দাম কমবে।

বাজারে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে পণ্য পরিবহন ও সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, এ, কে, এম, মাকসুদুল আলম তিনি বলেন, আমাদের কৃষকেরা যে কাঁচা পণ্য উৎপাদন করেন, সেগুলোর সংরক্ষণের ব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত।

কিন্তু সেটা আমাদের পরিবহনের ক্ষেত্রেও হয়নি, বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রেও হয়নি। কারণ, আমাদের নিত্যপণ্যগুলোর হাতবদল বেশি হয় লাভের বেশি অংশই নিয়ে নেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।