ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

মধুপুরে কলার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

হাফিজুর রহমান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | আপডেট: বুধবার, অক্টোবর ২৬, ২০২২

মধুপুরে কলার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি
টাঙ্গাইলের জেলার মধুপুর উপজেলার এককালীন ফলন ও অল্প খরচে লাভ বেশী হওয়ায় কলা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। তবে এ অঞ্চলে কলা আবাদের জন্য উর্বর মাটি হচ্ছে মধুপুরের পাহাড়ী অঞ্চলের লাল মাটি। অনেক কৃষকের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতাও এসেছে এ কলা চাষে। কলার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।

অন্যান্য ফসলের তুলনায় কলা চাষে শ্রম ব্যয় খুবই কম। জৈব সার ব্যবহার করে কলা চাষ করার ফলে স্থানীয় বাজারে এ কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

উপজেলার প্রায় সবকটি ইউপিতে কলা চাষ করছে কৃষকরা। করোনাভাইরাসের প্রভাবে চলতি মৌসুমে চাষীরা কলার দাম কম পেলেও অন্য মৌসুমে ভালো দাম পাওয়ার কারণে অনেক কৃষক চাষের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে শোলাকুড়ী, বেরীবাইদ, অরণখোলা,কুড়াগাছা, ইউপি’তে এর চাষ বেশী করা হচ্ছে।

একবার কলার চারা রোপণ করলে দুই-তিন মৌসুম ফল পাওয়ার কথা জানিয়ে শোলাকুড়ী এলাকার কৃষক আজাহার আলী  জানান, আমি এক একর জমিতে কলা চাষ করেছি। শ্রমিকের মুজুরী বেশী হওয়ায় বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২২ হাজার টাকার খরচ করে ৬০-৭০ হাজার টাকা আয় করা যায়। 
সাগর কলা, অমৃত সাগর,  মেহর সাগরসহ বিভিন্ন জাতের চারা রোপণ করা হয় এ এলাকায়। প্রতি বিঘা জমিতে ৩শ থেকে ৪শ চারা রোপণ করা যায়। প্রায় এক বছর পর পর রোপণকৃত গাছ থেকে কলা পাওয়া যায়।

বয়স ভেদে বিভিন্ন গাছে কলার কাদি প্রায় সারা বছরই ফলন দেয়। প্রতি কাদি কাঁচা কলা স্থানীয় বিক্রেতাদের কাছে পাইকারি বিক্রি হয় প্রকার ভেদে ২৭০ থেকে ৩৮০ টাকা পর্যন্ত।

মহিষমারা এলাকার কৃষক ছানোয়ার হোসেন, কুড়াগাছা ইউনিয়নের ভবানিটেকী এলাকার কলা চাষী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মাসুদ রানা ও অরণখোলা এলাকার কলা চাষী মজিবর রহমান মজি জানান, এখানকার কলায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না। চার বছর যাবত কলা চাষ করে লাভবান হচ্ছি। অন্য ফসলের চেয়ে এটি অধিক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এলাকায় কলা চাষ বাড়ছে।

মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আল মামুন রাসেল জানান, এ বছর উপজেলায় ২৭’শ হেক্টর জমিতে কলার চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কলা চাষীদের সকল ধরণের সহযোগীতা  দেয়া হচ্ছে। কলা গাছে সাধারণ দুই ধরনের রোগের আক্রমণ হয় পানামা এবং সিগাটোকা।