ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে নওগাঁর আত্রাইয়ের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঝড়-বৃষ্টি। এর কবলে পড়ে কৃষকের রোপা আমন ধান, শাক-সবজি ও কলাবাগানসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এসব ফসল ঘরে তোলার সম্ভাবনায় মুহূর্তে অপূরণীয় ক্ষতিতে দুশ্চিন্তায় ভুগছে কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্য। কীভাবে এই ক্ষতি পূষিয়ে নেবেন এ নিয়ে চরম হতাশায় পড়ছে তারা। কৃষকদের এমন ক্ষতি হলেও মাঠে নেই কৃষি কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, শস্যভান্ডার খ্যাত আত্রাইয়ে চলতি রবি মৌসুমে আমন ধান, কলাবাগান ও শাক-সবজিসহ প্রায় ২ লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে এসব চাষাবাদ করা হয়েছে। আর কিছুদিন পরেই মাঠের ফসল ঘরে তুলে দিনবদলের স্বপ্ন দেখছিলেন কৃষকরা। এরই মধ্যে সোমবার উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের সৃষ্টি হয়। আর এই প্রভাব পড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। সোমবার বিকাল থেকে রাত প্রায় ২২ ঘন্টা ধরে থেমে থেমে ঝড় ও বৃষ্টিপাত হয়। বৈরী এই আবহাওয়ায় পানির ওপর নুয়ে পড়ে কৃষকের আধাপাকা ধান। শুধু ধানই নয়, কলাবাগানসহ শাক-সবিজরও ক্ষতি হয়। সংসারের মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ধার-দেনায় আবাদ করা এসব ক্ষেতে ফসল নষ্ট হওয়ায় মাথায় বাজ পড়েছে কৃষকের। আর দুই সপ্তাহ পর যেসব ফসল ঘরে উঠত কিন্তু হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে কৃষকের বুকভরা স্বপ্ন এক নিমেশেই ভেঙে যায়। তাদের বহুদিনের দিনে কাঙ্খিত এই স্বপ্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে মুহূর্তে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
আত্রাই উপজেলার খনজোর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সিদ্দিক জানান, ৫ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ করছেন। তার এক বিঘা জমির আধাপাকা ধান জমিতে শুয়ে পড়েছে পানির উপরে। হঠাৎ এই ক্ষতি হওয়ায় দুশ্চিতায় ভুগছেন তিনি।
বিলগোলিয়া কলাচাষি মালেক সরদার জানান, তিনি আড়াই বিঘা জমিতে কলা চারা রোপন করেছেন। ফলনও হয়েছিল ভালো। প্রায় ৩ লাখ টাকা লাভের আশা করছিলেন। এরই মধ্যে দমকা হাওয়া পুরো কলাবাগান তছনছ হয়ে গেছে। এখন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবো তার কিনো কূলকিনারা খুঁজে পারছেন না তিনি।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কে এম কাওছার হোসেন জানান, ক্ষতির পরিমাণ এখনো সম্পন্ন নিরূপন করা হয়নি। নিরূপন করা হলে সঠিক পাওয়া যাবে।