টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে সেন্টমার্টিন ও শাহপরির দ্বীপ ইউনিয়নের অন্তত ৫ শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের তালিকা করে আর্থিক সহায়তার আওতায় আনছে উপজেলা প্রশাসন।
সেই সাথে বঙ্গোপসাগরের ঢেউয়ের তান্ডবে মেরিন ড্রাইভের কিছু কিছু অংশে ভাঙ্গন ধরেছে। বিশেষ করে সাবরাং ইউনিয়নের শশ্মান এলাকায় মেরিন ড্রাইভের ভাঙ্গন তীব্র আকারে বিপর্যস্ত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় চিত্রাংয়ের প্রভাবে ৫শ পরিবার ছোট বড়ো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর তালিকা তৈরী করা হয়েছে। তবে সেন্টমার্টিনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
তিনি জানান, সর্বশেষ ১৯৯১ সালে সেন্টমার্টিনে পানি ঢুকেছিল। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ও জোয়ারের কারণে দ্বীপের দক্ষিণ দিক ছাড়া বাকি তিন দিক দিয়ে পানি ঢুকে চার ঘন্টা ছিলো। সেই সাথে প্রচন্ড বাতাস ও ঢেউয়ের তান্ডবে তিন শতের বেশি বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সম্পূর্ণ বিধস্ত হয় ১৩০ পরিবার। তাদের তালিকা তৈরী করে উপজেলা প্রশাসনের কাছে পৌছে দেয়া হয়।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন জানান ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় ১৫০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাদের তালিকা তৈরী করে জমা দেয়া হয়। তিনি আরো বলেন, বেড়ীবাধের কারণে শাহপরীর দ্বীপবাসীকে রক্ষা করেছে। না হয় সাগরে তলিয়ে যেতো হাজারো মানুষ।
এ দিকে ঘূর্ণিঝড় চিত্রাংয়ের কারণে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন ধরেছে। তীব্র আকারে বিধস্ত হয়েছে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের খুরের মুখ এলাকায়। উপজেলা প্রশাসনের তড়িৎ যোগাযোগে এ রিপোর্ট লেখা অবধি কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
তিনি জানান, মূলত স্বাভাবিকের চেয়ে বঙ্গোপসাগরের পানির উচ্চতা ৭-৮ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানির আঘাতে এই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়।
এই বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, সিত্রাংয়ের প্রভাবে সমুদ্রের জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল। জোয়ারের পানির আঘাতে মেরিন ড্রাইভের সড়কের ৬-৭ হাত করে দুটি অংশ ভেঙ্গে গেছে। বিষয়টি দ্রুত জানানো হলে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সংস্কার কারযক্রম শুরু করেছে।
এ ছাড়া টেকনাফের দুইটি ইউনিয়ন অর্থাৎ শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৫’শ পরিবারের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। তাদের প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।