ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ |

EN

কুষ্টিয়ায় চাচাকে হত্যার দায়ে ভাতিজার যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, অক্টোবর ২৫, ২০২২

কুষ্টিয়ায় চাচাকে হত্যার দায়ে ভাতিজার যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলায় পূর্বশত্রুতাকে কেন্দ্র করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে চাচা আসাদুল কবিরাজকে (৪৫) হত্যার দায়ে ভাতিজা জাহিদুল ইসলামকে (২০) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একবছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহিদুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের মুরাদ কবিরাজের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। 
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় অপর আসামি ও একই গ্রামের বাসিন্দা জাহিমা খাতুন, রাজ্জাক ও সেলিম কবিরাজকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জেরে ২০১৯ সালের ৭ জুলাই দুপুরে আসামি জাহিদুল ইসলাম পূর্বপরিকল্পিতভাবে চাচা আসাদুল কবিরাজের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে এবং এলোপাতাড়ি মারপিট করে রক্তাক্ত জখম ও গুরুতর আহত করে। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। পরে অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এঘটনায় ১০ জুলাই নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

পরে মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর  পুলিশ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২৫ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন। 

আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি জাহিদুল ইসলামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।