ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪ |

EN

রাজপথের নিয়ন্ত্রণ বিএনপি কখনো নিতে পারবে না- কৃষিমন্ত্রী

হাফিজুর রহমান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি | আপডেট: সোমবার, অক্টোবর ২৪, ২০২২

রাজপথের নিয়ন্ত্রণ বিএনপি কখনো নিতে পারবে না- কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আন্দোলনের নামে  বিএনপি রেল লাইনে আগুন দিবে, বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিবে, ঘরে-গাড়ীতে আগুন দিবে জীবন্ত মানুষ মারবে আর পুলিশ চুপ করে বসে থাকবে তাতো হতে পারে না। মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় যা যা করা দরকার, সরকার তাই করবে। তিনি বলেন, ২০১৫ সালে একটানা ৯০ দিন হরতাল দিয়েছিলো বিএনপি,  তখনও তারা সফল হয় নি। আন্দোলন ফেলে মাথা নিচু করে বাড়ীতে ফিরে গিয়েছিলো। আগামী দিনেও বিএনপিকে খালি হাতে নত মুখে ঘরে ফিরে যেতে হবে।

সোমবার (২৪ অক্টোবর ২২)ইং টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রাজপথের নিয়ন্ত্রণ বিএনপির নিকট থাকবে না মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, রাজপথের নিয়ন্ত্রণ সবসময়ই আওয়ামী লীগের হাতে ছিল, এখনও আছে, আগামী দিনেও থাকবে। রাজাকার আর জামায়াতকে সাথে নিয়ে বিএনপি যতই আন্দোলন করুক, রাজপথের নিয়ন্ত্রণ তাদের কাছে থাকবে না। তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। বর্তমান সরকার একটি ন্যায়সঙ্গত, জনগণের নির্বাচিত সাংবিধানিক সরকার, মেয়াদের শেষ দিন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে মাঠভর্তি ফসল রয়েছে। আমনের অবস্থা ভালো, সোনালী ফসল হবে। এছাড়া, দেশে যথেষ্ট খাদ্য মজুদ রয়েছে। কাজেই, বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাংলাদেশে খাদ্যের কোন সংকট হবে না, দুর্ভিক্ষ হবে না। পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশে খাদ্যের অভাব হতে পারে, দুর্ভিক্ষ হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশ কোনো খাদ্য সংকটে পড়বে না। এই মুহূর্তে দেশে খাদ্যের কোনো হাহাকার নাই, আগামী দিনেও হাহাকার হবে না।

সম্মেলনে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবির কাওছার, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়ারেুল ইসলাম  প্রমূখ বক্তব্য রাখেন ।

সম্মেলনে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক, তোফাজ্জল হোসেন তোফা’কে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।