ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

রাস্তা উদ্বোধন করলেন রিকশাচালকের স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: শনিবার, অক্টোবর ২, ২০২১

রাস্তা উদ্বোধন করলেন রিকশাচালকের স্ত্রী

যশোরের মণিরামপুরের জলকর রোহিতায় দুই লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার হওয়া ৫০০ ফুটের একটি ইটের রাস্তা উদ্বোধন করেছেন রিকশাচালক রবিউল ইসলামের স্ত্রী স্বপ্না খাতুন।

 

শুক্রবার (০১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানমের উপস্থিতিতে ফিতা কেটে তিনি রাস্তা উদ্বোধন করেন।

 

এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান উপস্থিত থেকে নিজে রাস্তা উদ্বোধন না করে রিকশাচালকের স্ত্রীকে দিয়ে রাস্তা উদ্বোধন করিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন।

 

গত আগস্ট কর্দমাক্ত রাস্তায় এক নারীর রিকশা ঠেলার একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। ছবিতে দেখা যায়, কাদার মধ্য দিয়ে রিকশা টেনে নিচ্ছেন একজন পুরুষ। পেছন থেকে ঠেলছেন এক নারী। সেই নারী এই স্বপ্না খাতুন, শুক্রবার যিনি ফিতা কেটে রাস্তা উদ্বোধন করেছেন। তিনি ওই এলাকার রিকশাচালক রবিউল ইসলামের স্ত্রী।

 

জলকর রোহিতা দক্ষিণপাড়ায় পাকা সড়কের পাশে একটি রাস্তা রয়েছে। বর্ষায় রাস্তাটিতে হাঁটু সমান কাদা হতো। ওই রাস্তার ধারে ২০-৩০টি বাড়ি রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের অধিকাংশই রিকশা বা ভ্যানচালক। কাদায় ভ্যান-রিকশা নিয়ে যাতায়াতে তাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো। ওই কাদা মাড়িয়ে নিয়মিত রিকশা আনা-নেওয়া করতে হতো রবিউল ইসলামকে। তিনি হার্টের রোগী হওয়ায় কাদায় রিকশা টানতে কষ্ট হতো। তখন স্বপ্না বেগম রিকশা ঠেলে স্বামীকে সাহায্য করতেন।

 

নারীর রিকশা ঠেলার ছবি দেখে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম রাস্তাটি পরিদর্শন করেন। তখন তিনি রাস্তাটি সলিং করার উদ্যোগ নেন। শুক্রবার নিজে উপস্থিত থেকে সেই রিকশাচালকের স্ত্রীকে দিয়ে ফিতা কাটিয়ে রাস্তাটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করান নাজমা খানম।

 

সময় রোহিতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু আনছার সরদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাসেম আলী, আলতাফ হোসেন, রোহিতা চার নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ রাশেদ আলী, ইউপি সদস্য মহিতুল হোসেন, মাস্টার দেবাশীষ বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম বলেন, ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় তাদের রাস্তা সলিং করে দিয়েছি তা কিন্তু না। আমার কাছে কেউ কোনো সমস্যা নিয়ে আসলে সেটা দ্রুত সমাধান করার টেষ্টা করি। আমার উপজেলার কোনো এলাকা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হবে না।