পিরোজপুর ইন্দুরকানীতে মামাকে পানিতে চুবিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে ভাগ্নের বিরুদ্ধে।
আজ রবিবার সকালে উপজেলার ভবানিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রোববার সকালে উপজেলার ইন্দুরকানী বাজারের বাসিন্দা সাবেক ভেটেনারি চিকিৎসক আঃ খালেক হাওলাদার (৭৫) কে ইন্দুরকানী এলজিইডি ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে দক্ষিন ভবানীপুর গ্রামের আঃ বারেক মাস্টারের বাড়ির দক্ষিন পাশের নালায় ফেলে তার সৎ বোনের ছেলে ভাগ্নে মজিরুল ইসলাম আকন (৪৫) তার মামাকে চুবিয়ে হত্যা করে।
পরে খবর পেয়ে তার স্বজনরা তাকে ওই নালা থেকে উদ্ধার করে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার বিশ্বজিৎ রায় প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে খুনি লুকিয়ে আছে এটা জানতে পেরে স্থানীয়রা খুনি মজিরুল ইসলাম আকনকে দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের মনোয়ার হোসেনের বাড়ি থেকে আটক করে ইন্দুরকানী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
খুনিকে আটকের সময় আটককারী মোঃ ফারুক হোসেন মাষ্টার ও মোঃ সোহাগ হোসেন খুনির আক্রমনে গুরতর আহত হন।
উল্লেখ্য, মামা আঃ খালেকের সাথে ভাগ্নে মজিবল আকনের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। খুনি মজিবুল উপজেলার ঢেপসাবুনিয়া গ্রামের মৃত আ. ছত্তার আকনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী জোছনা বেগম জানান, মজিবুল আকন পানির মধ্যে দাড়িয়ে কি যেন করছিল। এসময় আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে মোবাইল ফোন পড়ে গেছে সেটা খুজতেছি।
নিহতের ছেলে মো. কামাল হোসেন জানান, খুনি ১০ বছর পূর্বে আমার বাবাকে মারধর করেছিল। এরপর আমার পিতা তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দিয়েছিল। এছাড়া তার সাথে আমাদের আর কোন বিরোধ ছিল না। খুনি রোববার সকালে আমার বাবাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই।
এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনামুল হক বলেন, আমরা অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে আটক করেছি এবং অভিযুক্ত মজিবুল আকন প্রথমিক পর্যায়ে তার মামাকে পানিতে চুবিয়ে মারার কথা স্বীকার করেছে। সে এখন আমাদের হেফাজতে রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।