২০০ কোটি টাকা তছরুপকাণ্ডে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়লো বলিউড তারকা জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের। শনিবার (২২ অক্টোবর) ভারতের একটি আদালত জ্যাকুলিনের জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে এ আদেশ দেন। তবে এর মধ্যেই নতুন অভিযোগ আনলো মামলার তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। জ্যাকুলিন নাকি ভারত ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু যেতে পারেননি। এমন অভিযোগ এনেছে ইডি।
আদালতে জামিন আবেদনের শুনানি চলাকালীন ইডি অভিযোগ জানায়, জ্যাকুলিন তার মোবাইলফোন থেকে সব তথ্য মুছে দিয়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করেছেন। তদন্তে সহযোগিতা করছেন না তিনি, এমনও অভিযোগ ওঠে। তারপরই ইডির তরফে বলা হয়, জ্যাকুলিন দেশ ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন এর মধ্যেই। কিন্তু ‘লুক আউট’ নোটিস জারি থাকায় সম্ভব হয়নি। আদালতে এই সংক্রান্ত সব নথি পেশ করেছে ইডি।
এরপর আদালতের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী সুরক্ষার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে জ্যাকুলিনের। জানা গিয়েছে, আগামী ১০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর অন্তর্বর্তী জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন জ্যাকুলিন। অগস্ট মাসে সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তছরুপ মামলায় নাম জড়ানোর পর ইডি তলব করেছিল তাকে। শুধু তা-ই নয়, তার সঙ্গে সম্পর্কিত আরও অনেককেই থানায় হাজিরা দিতে ডেকেছিল দিল্লির আর্থিক অপরাধ দমন শাখা।
জ্যাকুলিন শ্রীলঙ্কার নাগরিক। আপাতত তিনি ভারতেই রয়েছেন। কেন তিনি ভারত ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি পাননি, সে বিষয়ে জানাতে গিয়ে ইডি জানায়, জ্যাকুলিন দেশ ছেড়ে যাওয়ার পরে তার ফল কী হতে পারে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। এমন কথাও উঠে এসেছে, ভারত ছেড়ে যাওয়ার জন্য যথাযথ কারণও দেখাতে পারেননি জ্যাকুলিন। আর সেই কারণেই তাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তবে তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার বলে দাবি করেছেন জ্যাকুলিন। তার বক্তব্য, এমন একটি বিষয়ে তিনি জড়িয়ে পড়তে চলেছেন, এমন কোনো ধারণাই তার ছিল না।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস