ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

ফুলবাড়ীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ২০, ২০২২

ফুলবাড়ীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম ইন্সটিটিউটের ভূমি রক্ষাসহ প্রতিষ্ঠানের সরকারি বরাদ্দকৃত ভবন নির্মাণে বাঁধা সৃষ্টিকারীদের শাস্তির দাবিতে এক ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম ইন্সটিটিউট চত্ত¡রে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের অধক্ষ্য মো. আবু তৈয়ব ছালাহ উদ্দিন তুহিন, শিক্ষক বিপ্লব কুমার দাস, মো. মাহামুদুল হাসান,সোহরাব হোসেন ও তারিকুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

প্রতিবাদ সভায় অধ্যক্ষ মো. আবু তৈয়ব ছালাহ উদ্দিন বলেন, ফুলবাড়ী পৌর শহরের গৌরিপাড়া মৌজায় ২৪৯ দাগে ৬৭ শতাংশ জমির মধ্যে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৩৫ শতাংশ জমিতে ২০০১ সালে ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে তা ২০০৫ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়। এরই ধারবাহিকতায় ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত হয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নামে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২১-২২ অর্থ বছরে বাজেটের আওতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রসা শিক্ষা বিভাগের অনুকূলে কোড নং-১৬০০১০১-১২০০০১৬০২-৪১১১০০১ (পূর্বতন-৭০১৬) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ভবন/সম্প্রসারণ কাজের নিমিত্তে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ সাপেক্ষে চার তলা ভবনের শ্রেণী কক্ষ নির্মাণের অনুমোদন প্রাপ্ত হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের জমির দিক নির্ণয় নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ চলে আসছিল যা সমঝোতাও হয়েছে। এরপরেও প্রতিপক্ষরা সমঝোতা না মেনে প্রতিষ্ঠানের জায়গাকে নিজেদের জমি দাবি করে ভবন নির্মাণের বাঁধাসহ হুমকী প্রদান করে। এই প্রতিষ্ঠান বিদ্বেষি চক্রন্তে আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা ভবন নির্মাণে বাঁধা সৃষ্টিকারীদের শাস্তির দাবিসহ প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ আলী কাদের নেওয়াজ জানান, তার বাবা মরহুম দারাজ উদ্দিন মন্ডল তাদের দুই ভাইয়ের নামে ওই জমিটি সমান ভাবে দিক নির্ণয় করে বন্টন করে দেন। পরবর্তীতে তার ভাই মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. আবু তৈয়ব ছালাহ উদ্দিন বন্টক নামা অনুযায়ী দিক নির্ণয় না মেয়ে নিজ খেয়াল খুশি মতো গায়ের জোরে প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছে। বিষয়টি নিয়ে আদালত থেকে আমরা রায় পেলেও তারা তা মানছে না।