Can't found in the image content. ১০ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, ফেব্রুয়ারী ১৪, ২০২৫ | ১ ফাল্গুন ১৪৩১

EN

১০ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৮, ২০২২

১০ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড
আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের তিনটি গ্রামে শতাধিক কাঁচা, আধাপাকা ঘর-বাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়েছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন। 

সোমবার গভীর রাতে পাথারিয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর, আসামমোড়া ও শ্রীনাথপুর গ্রামের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। ১০-১৫ মিনিটের এ ঝড়ে শতাধিক বসতঘর মাটির সঙ্গে মিশে যায়। দুই শতাধিক গাছপালা উপড়ে গেছে।

এ সময় বাঁশ, গাছপালা ও টিনের আঘাতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন নারী-পুরুষ। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনটি গ্রামের প্রায় ১৩০টি বসতঘর, গোয়ালঘর, রান্নাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের বেশির ভাগই কৃষক ও দিনমজুর। সরকারি সহযোগিতা ছাড়া তাদের পক্ষে বসতঘর সংস্কার সম্ভব নয়।

পাথারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে দুইশ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষের ঘরের চালের ঢেউটিন কাগজের মতো উড়ে গেছে। প্রতিটি কাঁচা বসতঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।

এদিকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সকিনা আক্তার, শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেন ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ি পরিদর্শন করেন এবং তাদের সরকারি সহায়তার আশ্বাস দেন।

উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তালিকা তৈরির কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া জানান, পাথারিয়া ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে তিন গ্রামের শতাধিক বসতঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরির কাজ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার উজ জামান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। দ্রুত তাদের সহযোগিতা করা হবে।