ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪ |

EN

ধর্মপাশায় ঠিকাদারের কার্যাদেশ, চুক্তিনামা বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত

ধর্মপাশা প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৮, ২০২২

ধর্মপাশায় ঠিকাদারের কার্যাদেশ, চুক্তিনামা বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৯টি বীর নিবাস (আবাসন) নির্মাণ কাজ মেয়াদ শেষ হওয়ার সাতমাস পরও সম্পন্ন না করায় ঠিকাদারের কার্যাদেশ  ও চুক্তিনামা বাতিল  এবং জামান্নত বাজেয়াপ্ত করেছে ধর্মপাশা  উপজেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার (১৮অক্টােবর)উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মুনতাসির হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।  

ধর্মপাশা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জানা গেছে,ধর্মপাশা উপজেলার কামলাবাজ, মেউহারী, মির্জাপুর,মুদাহরপুর গ্রামে ও মধ্যনগর উপজেলার রৌহা, বুড়িপত্তন, কালাগড় ও  সুলেমানপুর এই আটটি গ্রামের ৯টি অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৯টি বীর নিবাস নির্মাণ কাজের জন্য গতবছরের ২২নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। এক কোটি ২০লাখ ৯২হাজার ৫৫৯টাকা ব্যয়ে  এসব বীর নিবাস নির্মাণ কাজটি পায় মেসার্স জব্বার বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদার মঞ্জুরুল হককে কার্যাদেশ দেওয়া হয় গতবছরের ২৮ডিসেম্বর। চলতি বছরের ২৮ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব বীর নিবাস নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাতমাস পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদার এসব বীর নিবাস নির্মাণ কাজ শেষ করেননি।  ঠিকাদারকে চূড়ান্ত নোটিশসহ চারবার নোটিশ দিলেও তিনি কোনো জবাব দেননি। এ অবস্থায়  পিপিআর/ ২০০৮এর বিধি  ১২৭ (৪) (গ) মোতাবেক ঠিকাদারের চুক্তিপত্রসহ কার্যাদেশ ও জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

বীর নিবাস নির্মাণ কাজের ঠিকাদার মঞ্জুরুল হক সুজন বলেন, এসব বীর নিবাস নির্মাণ কাজে আমার ব্যবসায়িক প্রতিনিধি ছিলেন ছুন্নু মিয়া। তাঁর গাফিলতির কারণেই আমার  চরম ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রজেশ চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন,ঠিকাদার এই নয়টি বীর নিবাস নির্মাণ কাজের গড়ে ৬০ভাগ শেষ করেছেন। তিনি বীর নিবাস নির্মাণ কাজ বাবদ এ পর্য্ন্ত ৪৭লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মুনতাসির হাসান বলেন,বীর নিবাস নির্মাণ কাজ শেষ করার মেয়াদ বেশ কয়েকমাস আগেই শেষ হয়েছে।  ঠিকাদারের কাছে চূড়ান্ত নোটিশসহ চারবার নোটিশ পাঠালেও তিনি কোনো সদুত্তর দেননি। এ অবস্থায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ঠিকাদারের কার্যাদেশ ও চুক্তিপত্র বাতিল  এবং জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।