লক্ষীপুরের রায়পুরে উপজেলার চর আবাবিল ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে কাটাখালীর সিমানা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা ইলিশ শিকার করছেন অনবরত। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে অবৈধ ইলিশ নিধনের কাজ।
রায়পুর উপজেলার চর আবাবিল ইউনিয়নের সিমানা থেকে শুরু হয়ে, মেঘনা নদীতে মা-ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জেলেরা প্রকাশ্যে ইলিশ শিকার করে যাচ্ছেন বলে স্থানীয়রা স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। নিষেধাজ্ঞার দশম দিনেও চলছে সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত প্রশাসন কর্তৃক মেঘনা নদীতে অভিযান। জানা যায় পরিচালনাকারীদের কঠোর নজরদারির মধ্যেও জেলেরা নদীতে জাল ফেলে মাছ শিকার করছেন।
যখন বেলা ১টার পর নদীতে অভিযান পরিচালনাকারীদের উপস্থিতি কমে যায়। তখন সুযোগ বুঝে ইলিশ শিকারে নেমে পড়েন আরো বেশি জেলে।
মেঘনায় জেলেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীতে জেলেরা প্রকাশ্যে দিবালোকে জাল ফেলে ইলিশ শিকার করার পাশাপাশি নদীর তীরে এনে বিক্রি করছেন বলেও স্থানীয় সুত্র থেকে জানায়ায়।
উল্লেখ্য গত ৭ অক্টোবর থেকে ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ অভিযান শুরু হয়। এ অভিযান চলমান থাকবে আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত।
উপজেলা মৎস্য অফিস কর্তৃপক্ষের তৎপরতা উপেক্ষা করেও মেঘনা নদীতে বেপরোয়াভাবে জেলেরা ইলিশ শিকার করছেন।
চলতি এই অভিযানে এ বছর কোস্ট গার্ড না থাকায় সেই সুযোগে জেলেরা দিনে টহলরত মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে ইলিশ শিকার করছেন। প্রতিদিন মেঘনা নদীতে অনেক মা-ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে।
নিষেধাজ্ঞার এসময়ে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ এবং কেনাবেচা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই শিকার করছেন মা- ইলিশ।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় , মৎস্য বিভাগ এবং নৌ-পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলেও তা অপ্রতুল বলে নদীতে জাল ফেলতে সাহস পাচ্ছেন জেলেরা। শুধু তাই নয়, জেলেরা নদীর তীরে মাছ ধরার ট্রলারে বসেই ইলিশ বিক্রি করছেন।
স্থানীয়রা আরো জানান এলাকার কিছু প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ইন্দনে ও সহযোগিতায় জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে যায়।
স্থানীয় জেলেরা জানান মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় সরকার থেকে খাদ্য সহায়তা করার কথা থাকলেও এখনো তারা তা পাননি। কাটাখালী এলাকার রশিদ নামের এক জেলে বলেন, সকালে নদীতে অভিযানের লোকজন ছিল। তারা চলে যাওয়ার পর পরই জেলেরা নদীতে নেমে মাছ শিকার করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. ইমদাদুল হক জানান, মা-ইলিশ সংরক্ষণে আমাদের অভিযান চলমান আছে । এ বছর রায়পুরে কোস্ট গার্ডের কোনো ক্যাম্প না থাকায় নদীতে ২৪ ঘণ্টাতে অভিযান করা সম্ভব হয় না।
এ পর্যন্ত মেঘনা নদীতে চারটি মোবাইল কোর্ট ও ২৬টি অভিযান করা হয়েছে। এতে বেশ কিছু জাল ও কয়েকটি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো জেলেকে আটক বা জরিমানা করা হয়নি।