জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, অক্টোবর ১, ২০২১
স্ত্রীর
বান্ধবীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সেই গোলাম রাব্বী জামিনে বেরিয়ে ফের ভুয়া
কাবিন নামা দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাব্বীর বিরুদ্ধে
বুধবার মামলা করেছেন ওই স্কুলছাত্রর পরিবার।
রাব্বী
বরগুনা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ও পৌরসভার কর্মরত জেসমিন সুলতানা দম্পতির
সন্তান।
জানা
যায়, রাব্বীর দখল থেকে উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্রী এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। রাব্বী
একটি ভুয়া কামিন নামা তৈরি করে স্কুলছাত্রীকে বিয়ের নাটক করে অপহরণ করে তার বন্ধু মামুনের
বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে যাচ্ছে। স্কুলছাত্রর পরিবার জানতে পারে তার মেয়েকে রাব্বী বিয়ে
করেনি। ভুয়া কাবিন নামা সৃষ্টি করেছে।
ভুক্তভোগী
স্কুলছাত্রর মা বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর রাব্বী তার বন্ধু মামুনের বাসায় আমার মেয়েকে নিয়ে
ধর্ষণ করে। এমনকি আমার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ভুয়া কাবিন নামাও তৈরি করে রাব্বী। আমার মেয়ে
চলে আসতে চাইলে রাব্বীর নিজের বাসায় নিয়ে নির্যাতন চালায়। বিষয়টি বরগুনা থানায় জানালে
পুলিশ আমার মেয়েকে রাব্বীর দখল থেকে উদ্ধার করে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে রাব্বী আমার মেয়েকে
প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে আসছে।
উল্লেখ্য,
৫ আগস্ট রাব্বী তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে স্ত্রীর বান্ধবীকে বাসায় ডেকে
এনে দুদিন আটক রেখে ধর্ষণ করে। পরে তার স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে থানায় খবর দিলে পুলিশ
ওই নারীকে উদ্ধার করে।
এ
ঘটনায় নির্যাতিতার মা বরগুনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন রাব্বীর বিরুদ্ধ। পুলিশ
রাব্বীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। রাব্বী ২২ আগস্ট জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
বরগুনা
থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে গোলাম রাব্বীর বিরুদ্ধে
মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। ঘটনার পর থেকেই রাব্বী পলাতক রয়েছে। তাকে
গ্রেফতারে অভিযান চলছে।