ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

স্বল্প মুল্যে গো-খাদ্যের যোগান দিচ্ছে আমনের কাঁচা খড়

মেহেদী হাসান, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর | আপডেট: শনিবার, অক্টোবর ১৫, ২০২২

স্বল্প মুল্যে গো-খাদ্যের যোগান দিচ্ছে আমনের কাঁচা খড়
গো-খাদ্যের মুল্য বেশি তাই দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার গরুর খামারীদের স্বল্প মূল্যে গো-খাদ্যের যোগান দিচ্ছে আগাম জাতের আমনের কাচা খড়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে,উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় ২ হাজার ৩২৫টি গরুর খামার রয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধনকৃত খামার ২৩টি। কৃষক পর্যায়ে দেশি গরু রয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৬২৩টি এবং সংকর জাতের গরু রয়েছে ৩৭ হাজার ৫৪০টি।

এসব গরুর প্রধান খাবার নেপিয়ার ঘাঁস ও ধানের খড়। আমন মৌসুমের খড় শুকিয়ে রেখে গরুর মালিকরা সারা বছর গরুকে শুকনো খড় খাইয়ে থাকেন। আবার বেশি দামের আশায় অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা খড় শুকিয়ে রাখেন। গত আমন মৌসুমের খড় এবছরে দাম বেশি। প্রতি আটি শুকনা খড় ৯-১০ টাকা দরে,প্রতি একপোন (৪০টি আটি) ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে বেশি দামে খড় কিনতে গিয়ে খামারী ও সাধারণ গরুর মালিকদের হিমিশিম খেতে হয়। উঁচু শ্রেণির জমিতে রোপিত আগাম জাতের আমন ধান অক্টোবরের প্রথম থেকে কাটা শুরু হয়। আগাম জাতের আমন ধান কাটা মাড়াই শেষে কৃষকরা এই কাঁচা খড় গো খাদ্য হিসেবে বাজারে বিক্রি করছেন। নেপিয়ার ঘাঁসের পাশাপাশি এই কাঁচা খড় কিনতে ক্রেতারাও আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে কাঁচা খড় প্রতি আটি ২-৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে,এক বোঝা খড় ৩০-৪০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতো অল্প দামে কাঁচা খড় পেয়ে খামারীরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন।

পৌর এলাকার কাঁটাবাড়ী গ্রামের মোক্তার হোসেন জানান,তার দুইটি গরু রয়েছে,প্রতিদিন খড় কিনতে হয়।
শুকনো খড় এবং ভুৃসির দাম বেশি হওয়ায় পোষানো যায়না,তাই তিনি স্বল্প দামে কাচা খড় কিনে গরুকে খাওয়াচ্ছেন,এতে তার আনেক সাশ্রয় হচ্ছে। 

অপরদিকে খড় বিক্রেতা আশরাফুল ইসলাম জানান,কৃষকদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে তিনি আগাম জাতের আমন ধানের এই কাচা খড় সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করেন। তিনি বলেন,শুকনো খড়ের তুলানায় এই খড়ের দাম অনেক কম,তাই চাহিদাও রয়েছে,বেচা-কেনা বেশ ভালো। 

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. রবিউল ইসলাম জানান,কাঁচা খড় গরুর খাবারের চাহিদা পুরন করছে,এতে গরু পালনে খরচ কম হচ্ছে।তবে এতে ঘাসের মত ভিটামিন নেই।এর পাশাপাশি ঘাস খাওয়ালে গরুর স্বাস্থ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি হবে। কারন কাচা ঘাসে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন থাকে যা গরুর জন্য উপকারি।