নাটোর শহরে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় কাজী জামাল হোসেন (৩৮) নামে এক যুবকের হাতের রগ কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার ভোররাতে মোটরসাইকেলে ঢাকার দিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৩৩ কিলোমিটার ধাওয়া করে জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজ্জাক মোড় এলাকা থেকে নাটোর থানা পুলিশ অভিযুক্ত মিল্টন ও সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানান, নাটোর শহরের কান্দিভিটুয়া এলাকার পোস্ট অফিস মোড় ও রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে দুই যুবকের মধ্যে তর্কবির্তকের ঘটনা ঘটে। এর প্রায় ১৫ মিনিট পরই প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হন জামাল হোসেন কাজী নামের এক যুবক। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওই যুবকের হাতের রগ ও মাংস কেটে যায়। দ্রুত তাকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। রাতে আহত যুবককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। জামাল কাজী শহরের মীরপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক মিল্টন এবং সাইফুল ইসলামের বাড়ি শহরের মল্লিকহাটি এলাকায়। হামলার শিকার জামাল কাজী দাবি করেন, মিল্টন দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যবসায় জড়িত। সম্প্রতি সে তার নিজ এলাকা মল্লিকহাটির পাশাপাশি জামাল কাজীর এলাকাতেও মাদক সরবরাহ শুরু করে। এতে জামাল কাজী বাধা দেন। ওই ঘটনার জেরে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী একই এলাকার নাজমুল শেখ বাপ্পী বলেন, মিল্টন ও সাইফুল আহত জামাল কাজীকে খোঁজ করে না পেয়ে চলে যাচ্ছিল। মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে তারা পেছনে তাকাতেই দেখেন জামাল কাজী একটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা ছুটে গিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে চলে যায়।
বিষয়টি জানার পর সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ। পরে নাটোরের পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত অভিযুক্তদের আটক করার নির্দেশ দেন। নাটোর থানার এসআই জামাল হোসেন অপর এক পুলিশ সদস্যকে নিয়ে মোটরসাইকেলে অভিযুক্তদের এলাকায় গেলে টের পেয়ে তারাও মোটরসাইকেল নিয়ে নাটোর-ঢাকা মহাসড়ক দিয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে।
পুলিশ পুরো ৩৩ কিলোমিটার ব্যস্ত মহাসড়কে ধাওয়া করে বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজ্জাক মোড় এলাকা থেকে অভিযুক্ত মিল্টন ও সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত মিল্টন ও সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নাটোর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।