খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা সরকারী কলেজ পরীক্ষ কেন্দ্রে নকল সরবরাহের দায়ে কলেজের অফিস সহায়ক মো. কামাল হোসেনকে দুই বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ের ৪টার দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটর মিজ তৃলা দেব এ দন্ডাদেশ দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত মো. কামাল হোসেন মাটিরাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজের অফিস সহায়ক। সে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মুসলিমপাড়ার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
মাটিরাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব প্রশান্ত ত্রিপুরা জানান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়-বাউবি‘র অধীনে এইচএসসি প্রোগ্রামের সমাজ বিজ্ঞান ২য় পত্রের পরীক্ষা চলাকালে জনৈক পরীক্ষার্থীর মোবাইল উত্তরপত্র প্রেরণ করেন মাটিরাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজের অফিস সহায়ক মো. কামাল হোসেন। এসময় তাকে হাতেনাতে আটক করেন পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা রিসোর্স ইনস্ট্রাক্টর মো. আজগর হোসেন।
পরে দোষ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমান আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজ তৃলা দেব তাকে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন-এর ৯ ধারায় দুই বছরের কারাদন্ড ও ১০০টাকা জরিমানা করেন। এসময় মো. আজিম উদ্দিন নোমান নামে ওই শিক্ষার্থীকে তিন বছরের জন্য বহিস্কার করেন ভাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বঅহী অফিসার মিজ তৃলা দেব বলেন, নকল সরবরাহের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় একই সাথে অপরাধ স্বীকার করায় কলেজের অফিস সহায়ক মো. কামাল হোসেনকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মো. কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়-বাউবি‘র অধীনে মাটিরাঙ্গা সরকারী ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের মাঝে নকল সরবরাহ করে আসছিল। এর আগেও তাকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল।