দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাস বন্ধ থাকার পর দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পাথর উত্তোলন কাজ শুরু করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল থেকে সবরকম প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষে বিকেলে পূর্ণমাত্রায় উত্তোলন কাজ শুরু হয়েছে। এতে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার টন পাথর উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন। বিয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড এর মহাব্যবস্থাপক মীর পিনাক ইকবাল।
খনি সুত্রে জানা যায়, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেডসহ (বিস্ফোরক) বিস্ফরক দ্রব্য সংকটে গত ১লা মে খনিটি বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে গত ১৩ মার্চ একই কারনে খনি বন্ধ হলে আবারও ২৮ মার্চ চালু করা হয়। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কর্তৃপক্ষ বিস্ফোরকের জোগান দিতে না পারায়,১৫ দিন না যেতেই আবারও শেষ হয়ে যায় খনির অপরিহার্য এই কাঁচামাল।
এমজিএমসিএল সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ১০০ টন (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেড) উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক খনিতে পৌঁছেছে। ১৫ অক্টোবর আরও ১২০ টন চট্টগ্রাম পৌঁছার কথা রয়েছে। চলতি মাসের শেষে আরও ১৫০ টন বিস্ফোরক বেনাপোলে পৌঁছার কথা রয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ৬ মাস নিরবচ্ছিন্ন খনি পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
বর্তমানে খনি থেকে পাথর উত্তোলন কাজ করছেন বেলারুশের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া স্ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)। চুক্তি অনুযায়ী পাথর উত্তোলনের জন্য যাবতীয় মেশিনারিজ, ইকুইপমেন্ট ও বিস্ফোরক জোগান দেবে এমজিএমসিএল। আর প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার ৫০০ টন পাথর উত্তোলন করবে জিটিসি।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত সাড়ে ৫ মাস খনি বন্ধ থাকায় একদিকে ঠিকাদার কোম্পানিকে লোকসান গুনতে হয়েছে। অন্যদিকে বিপুল পরিমান রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে সরকারের।
জানতে চাইলে মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড এর মহাব্যবস্থাপক মীর পিনাক ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিস্ফোরক দ্রব্য খনিতে পৌঁছে গেছে। সকাল থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষে বিকেলে উত্তোলন কাজ শুরু করা হয়েছে। আশা করা যায় প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার টন পাথর উত্তোলন করা সম্ভব হবে।