ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪ |

EN

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটক জাহাজ চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন

আমান উল্লাহ কবির, টেকনাফ প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৩, ২০২২

টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটক জাহাজ চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটক জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে সংশ্লিষ্ট জাহাজ মালিক, ঘাট মালিক, কর্মচারী, শ্রমিক ও সাধারণ ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।

প্রতি অক্টোবরের শুরুর দিকে পর্যটন মৌসুম শুরু হলে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী  জাহাজ চলাচল শুরু হয়।

কিন্তু হঠাৎ করে নাফ নদীর নৌ- রুটে নব্যতা সংকট দেখিয়ে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। ফলে পর্যটন নির্ভরশীল টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দাসহ দেশের শতশত নাগরিক বেকারের পাশাপাশি লোকসানের সম্মুখীন হয়ে পড়ে।

১৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় দমদমিয়া  জাহাজ ঘাটে পর্যটক জাহাজ চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও জাহাজ চলাচলের জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল ব্যবসায়িরা। পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে দমদমিয়া বিআইডব্লিউটিএ'র ঘাটে জাহাজ সমূহ অবস্থান করেছিল। একটি বছরের মধ্যে এক লক্ষাধিক মানুষ পাঁচ মাস পর্যটন ব্যবসার পুঁজি খাটিয়ে সারাবছর জীবিকা নির্বাহ করিয়া থাকে। চলতি বছর হঠাৎ করে  টেকনাফ-সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করায় পর্যটন খাতের সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্ট, আবাসিক হোটেল, বাস, মাইক্রো মালিক, চালক ও জাহাজ শ্রমিকেরা বেকার রয়েছে। অনেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

আরো জানা যায়, ইতিমধ্যে কক্সবাজার থেকে কর্ণফুলী ও বে-ওয়ান নামে দুটি পর্যটক জাহাজ চালু হলেও পর্যটকেরা ৭ থেকে ৮ ঘন্টা জাহাজে অবস্থান করে সাগরের প্রচন্ড ঢেউয়ে প্রায় পর্যটক অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই অসুস্থতার কারণে পর্যটকগণ আর জাহাজ নিয়ে কক্সবাজার ফিরতে পারে না।

পর্যটন ব্যবসায়িরা অভিযোগ করে জানায়, কিছু স্বার্থনেষী বড় ব্যবসায়ী তাদের নিজস্ব ফায়দা লুটার জন্য টিকেটের মূল্য বাড়িয়ে ওভারলোডিং করে দীর্ঘ সাগরের পথ পাঁড়ি দিয়ে সাধারণ পর্যটকদের  ক্ষতিসাধনের চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ- রুট দিয়ে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু থাকলে কম খরচে পর্যটকগণ সাচ্ছন্দে ভ্রমণে উৎসাহিত হয়। বিগত ১৫ বছর ধরে এই নৌ-রুটে জাহাজ চলাচল করে আসছিল। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে জাহাজ চলাচল না করা হলে পর্যটন শিল্পে ধ্বস নামার পাশাপাশি সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে।

ইজারাদার জিয়াউর রহমান জানান, লক্ষ লক্ষ টাকায় জাহাজ ঘাট ইজারা নিয়েছিলাম। হঠাৎ কেন,  কি উদ্দেশ্যে, কাদের খুশি করার জন্য জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে তা বোধগম্য নয়। অনেক পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ী যুবক ছেলে বেকার হয়ে গেছে। তাদের পরিবার অর্ধহারে অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করা ছাড়া বিকল্প পথ নেই।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. এরফানুল হক বলেন, নদীর নব্যতা সংকটের কারনে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অচিরেই ড্রেজিং করে জাহাজ চলাচলের ব্যবস্থা  করা হবে।
পরে ইউএন'র নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন ব্যবসায়ীরা।