অবশেষে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শীর্ষেন্দু বিশ্বাসের সেতু নির্মাণের সেই অনুরোধ বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ২০১৬ সালে লেখা এক চিঠিতে মির্জাগঞ্জ পায়রা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের অনুরোধ করে ওই শিক্ষার্থী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চতুর্থ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর চিঠির জবাবে সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেন।
সেই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতেই পটুয়াখালী-কচুয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর পায়রাকুঞ্জ এলাকায় সেতুটি নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
১ দশমিক ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১০ দশমিক ৩ মিটার প্রস্তের সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালে। সেতু নির্মাণে পুরো ব্যয় সরকারের নিজস্ব খাত থেকে বহন করা হবে।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সেতুর নির্মাণস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সেতু বিভাগের সচিব ও সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. আবু বকর ছিদ্দীক এ কথা জানান।
পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী শীর্ষেন্দু বিশ্বাসের চিঠির উত্তরে প্রধানমন্ত্রী সেতুটি নির্মাণের আশ্বাস দেন। তার আশ্বাসেই সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে এবং সেগুলোর মূল্যায়নের কাজ চলছে। আশাকরি ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ চূড়ান্ত হবে এবং শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
এ সময় সেতু বিভাগের ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।