নাটোরের সিংড়ায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত রুহুল আমিন(৪০) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দুই জনে দাঁড়ালো। নিহত রুহুল আমিন সুকাশ ইউনিয়নের দোসোপাড়া গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) ভোর সাড়ে চারটায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সকালে রাজশাহীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আলফোর রহমান ও সুকাশ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন রুহুল আমিনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওয়ার্ড মাস্টার আলফোর রহমান জানান, ভোরে রুহুল আমিন মারা যান। তার মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আক্তার বলেন, রুহুল আমিনের মৃত্যুর বিষয়টি তারা শুনেছেন। তবে রাজপাড়া থানা থেকে এখনো তাদের বিষয়টি জানানো হয়নি।
এর আগে রোববার রাতে এ ঘটনায় আফতাব হোসেন ওরফে আত্তা (৫০) নামে একজন নিহত হন। তিনি স্থানীয় সুকাশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, এই ঘটনায় কোনো পক্ষ এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ দেয়নি।
উল্লেখ্য,১ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আফতাব ও বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিদুলের মধ্যে বামিহাল এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টার দিকে আফতাবের নেতৃত্বে তার কয়েকজন অনুসারী বর্তমান ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলামের অনুসারী রুহুল আমিন ও আবু মুসার দোসপাড়ার বাড়িতে হামলা চালান। ওই হামলার কিছু সময় পর রুহুল ও মুসা তাদের লোকজন নিয়ে বামিহাল বাজারে গিয়ে সেখানে থাকা আফতাব ও তার লোকজনের ওপর হামলা চালান। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আফতাবের সারা শরীরে জখম করেন তারা। পরে স্থানীয়রা আফতাবকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে জামতলী বাজার এলাকায় পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়।
সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।