দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে চড়ারহাট গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর এই দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের চড়ারহাট এলাকায় আন্দোলগ্রাম-সারাইপাড়া গ্রামে ১৫৭ জন নিরহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে । তাদের স্বরণে নির্মান করা হয় সেখানে চড়ারহাট বধ্যভুমি।
প্রতিবছরের মতো এই দিনটির স্মরনে সেখানে সোমবার যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, ইউনিয়ন পরিষদ, স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ পৃথক পৃথক কর্মসূচী পালন করা হয়।
সকালে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুর রহমান রিপনের নেতৃত্বে গণহত্যায় নিহত শহীদদের স্মরনে শহীদ বেদীতে ফুল দেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম, যুবলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদুর রহমানসহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বোচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
এরপর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, ইউনিয়ন পরিষদ, চড়ারহাট শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় কলেজ, প্রাণকৃষ্ণপুর-আন্দোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ শহীদ বেদীতে ফুল দেয়। এছাড়াও স্থানীয় এতিমখানার শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বীরমুক্তিযোদ্ধা মো.হাছান আলী জানান, ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের আন্দোলগ্রাম-সারাইপাড়া গ্রামে ১৫৭ জন নিরহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে । স্বাধীনতার ৪০ বছর পর ২০১১ সালে বর্তমান সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক তৎকালিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালিন সময়ে শহীদদের স্মরনে একটি স্মৃতি¯তম্ভ নির্মাণ করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর এই দিনে যথাযোগ্য মর্যাদায় চড়ারহাট গণহত্যা দিবস পালন হয়ে আসছে।